ঢাকা, বুধবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রামু সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রামু সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতি ও বিহারে হামলার ঘটনার নয় বছর পার হলেও এখনও বিচারকাজ শেষ হয়নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির কারণে দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।

রামু সহিংসতার নবম বর্ষে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লালচিং-মৈত্রী বিহার কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এদিন ভোরে সাদাচিংয়ে বুদ্ধপূজা, সকালে অষ্ট পরিষ্কারদানসহ মহাসংঘদান, ধর্মসভা ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রামু পানেরছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুচারিতা মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাচ্যভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জিনবোধি মহাথের।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রামু সেনা নিবাসের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রিয়াজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন- রামু মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাতিলক মহাথের, করুনাশ্রী থের, শিলপ্রিয় থের ও সংগঠনের সভাপতি কেতন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু প্রমুখ।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কেতন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু বলেন, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অনেকগুলো বুদ্ধমূর্তি, পবিত্র বুদ্ধের ধাতু, পবিত্র ত্রিপিটক ও প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। মূলত হারিয়ে যাওয়া এসব স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এ সহিংসতার বিচার চাই। কারণ, হামলাকারীরা শাস্তি না পেলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উত্তম বড়ুয়া নামে এক বৌদ্ধ যুবকের অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কোরান শরীফ অবমাননার অভিযোগ এনে রামুর বিভিন্ন বৌদ্ধ বসতি ও বিহারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় রামুর ২৬টি বসতঘর ও ১২টি বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয় আরও ছয়টি বৌদ্ধ বিহার এবং শতাধিক বসতঘরে।

পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে উখিয়ায় আরও চারটি বৌদ্ধ বিহারে হামলা চালানো হয়। সেই হামলার ক্ষতচিহ্ন মুছে বর্তমান সরকার এক বছরের মধ্যে ১৯টি বৌদ্ধ বিহার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এসব বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
এসবি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।