ঢাকা: ছয় বছর আগে গাবতলীর একটি বাসে ট্রাংক থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধারের মামলায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি নৌবাহিনীর সাবেক করপোরাল রেজাউল করিম স্বপনের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী আল মাহমুদ খান, মো. পারভেজ ও মঞ্জুরুল কবির মাসুদ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন দারুসসালাম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
জামিন আবেদনে বলা হয়- অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধারের এ মামলায় আসামিকে গ্রেফতার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। আসামি শনাক্ত না হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ সিআইডির গুলশান ইউনিটের পরিদর্শক মো. মকবুল হোসেন এই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর দুই বছর পর সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে আসামি রেজাউল করিম স্বপনকে গ্রেফতার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দীর্ঘ তদন্তের পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে রেজাউল করিম স্বপন ওরফে রাজকে গ্রেফতার করে। ওইদিন বিকেলে তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামানের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ মে বিকেলে গাবতলীতে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে একটি ট্রাংক থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে দারুসসালাম থানা পুলিশ। ট্রাংকটি ওইদিন সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের এ কে খান মোড় থেকে এক ব্যক্তি বাসে তুলে দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি একটি টিকিট কেটে বলেছিলেন, পরবর্তী স্টপেজে এক নারী যাত্রী উঠবেন। ওই ট্রাংক সেই নারীর। কিন্তু পরের স্টপেজে কোনো যাত্রী ওঠেনি। মালিকবিহীন অবস্থায় ট্রাংকটি গাবতলীতে এসে পৌঁছায়।
তবে ট্রাংকটি অনেক ভারি হওয়ায় সন্দেহ হয় বাসের হেলপার ও অন্যদের। তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ট্রাংকের তালা ভেঙে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে। তবে সে সময় মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
কেআই/এনএসআর