মাগুরা: শরতের শিউলি ঝরা সকাল, হিমেল হাওয়ায় ঢেউ খেলানো কাঁশফুল, আধো মেঘ আধো সূর্যের লুকোচুরিতে খেলায় মাতে প্রতিটি বছর। দেবী দুর্গার আগমনী সুর বেজে ওঠে প্রকৃতিতে।
দুর্গা পূজা আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতোমধ্যে পূজার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে মাগুরা শহর থেকে গ্রামে। পূজা উৎযাপন পরিষদ জানায়, এ বছর মাগুরা জেলায় চারটি থানায় ৭১১টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হবে। গত বছর মগুরা জেলায় ৬০২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে এ বছর ১০৯টি পূজা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১১ অক্টোবর দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস দিয়ে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর সিঁদুর উৎসবের মধ্যে দিয়ে দুর্গা পূজা শেষ হবে।
মাগুরা সদর উপজেলায় পূজার সংখ্যা ২৩১, শ্রীপুর ১৫৪, শালিখা ১৭১, মহম্মদপুর ১৩২, পৌরসভায় ২৩ মোট জেলায় ৭১১টি মণ্ডপে হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
দুর্গা পূজায় আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা, কোন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে না। । স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির প্রাঙ্গনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরা বাটিকাডাঙ্গা দুগা প্রতিমা কারখানায় গিয়ে কথা হয় প্রতিমা শিল্পী মুকুল বৈদ্যের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আটটি প্রতিমা তৈরি করছি। গত বছরের তুলনায় এবার পূজার সংখ্যা অনেক বেশি। রং তুলির যে দাম তাতে আমাদের লাভ থাকে না। যে প্রতিমা ৫০ হাজার টাকায় তৈরি করতাম সেই প্রতিমা ২৫ হাজার টাকায় তৈরি করতে হচ্ছে। সারা বছর আমাদের এই দুর্গাপূজার আয়ের টাকায় চলতে হয়।
মাগুরা নতুন বাজার স্মৃতি সংঘের পূজা মণ্ডপের আয়োজক প্রকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্মৃতি সংঘ পূজার আয়োজন করেছে। এরই ধারাবাহিকায় এ বছর দুর্গা পূজার আয়োজন সীমিত করছি। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে যে চাঁদার পরিমাণ কম পাওয়ায় আয়োজন সমীত করা হয়েছে।
মাগুরা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুন্ড বলেন, মাগুরা জেলায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টন, মুসলিম সবাই মিলে মিশে বাস করেন। এ বছর জেলায় ৭১১টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হবে। তবে এবার পূজায় উৎসব আমেজ সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় থাকবে আসনার, গ্রাম পুলিশ, সেচ্ছাসেবকসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
এনটি