ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় অপরাধ জগতে হেলাল!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় অপরাধ জগতে হেলাল!

নীলফামারী: অটোরিকশা চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চারটি অটোরিকশা এবং একটি অটোরিকশার অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

যার মূল্য দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।

এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ, পরিদর্শক আব্দুর রহমান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক শামসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- দিনাজপুর জেলার হেলাল হোসেন (২২), চোরাই অটো চার্জার ক্রয়কারী উজ্জল ইসলাম (৩৮), আনসার আলী (৪৫), ভাংড়ি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন (২০), খুচরা ক্রেতা জাবিরুল ইসলাম (৪০), আশরাফুল ইসলাম (৩৫), জাহেদুল ইসলাম (৩৭), আব্দুল মান্নান (২২) ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ (৪৪)।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা একই জেলার বিরল ও পার্বতীপুর উপজেলার বাসিন্দা।

জানা যায়, দিনাজপুরের বাসিন্দা আজিমুদ্দিন প্রামাণিক (৭৫) সৈয়দপুর শহরে অটোরিকশা চালান। গত ২৪ অক্টোবর সকালে তার অটোরিকশা চুরি হলে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়- দিনাজপুর শহরের উত্তর বালুবাড়ি এলাকার হাফিজুল ইসলামের ছেলে হেলাল হোসেন নিজেকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই জেলা শহরের মহারাজা এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে। মেয়েটি যখন জানতে পারে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। তখন সম্পর্ক ভেঙে যায় হেলালের।

বিষয়টি ভুলে থাকতে সে বাড়ির পাশ থেকে ডিসোপান-২ সেবন করে দীর্ঘক্ষণ ঘুমায় এবং পরে তার মাথায় আসে এই ট্যাবলেট মানুষকে খাওয়ালে অচেতন করে চুরি করা সম্ভব। এরপর থেকে সে ৫০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের টার্গেট করে মাঠে নামে। ডান পা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সে খুঁড়িয়ে হাঁটে এবং সেটিকে পূঁজি করেই মানুষের সহানুভূতি অর্জন করে সে।
পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বলেন, গতকাল চুরি হওয়া অটোরিকশা চালককে চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে নির্জন স্থানে রেখে যায়। পরে মামলা হওয়ায় এবং মামলার সূত্র ধরে নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, হেলাল প্রথমে অটোরিকশা ভাড়া করে বিমানে তার বাবা আসছে জানিয়ে চালকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে পরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেশি ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।

এসপি বলেন, মূলহোতা হেলাল অশিক্ষিত ছেলে কিন্তু অত্যন্ত চৌকস। প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে মানুষের কাছে সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করে এবং এই সহানুভূতি কাজে লাগিয়ে চুরির পরিকল্পনা করে। হেলালসহ বাকি আটজনও অটোরিকশা চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত। আর কারা জড়িত রয়েছে তাদেরও বের করার কাজ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।