মানিকগঞ্জ: ওই পাড় থেকে যখন ফেরিতে উঠি তখন সবকিছু ঠিক ছিল, ফেরিতে উঠে রিলাক্স করে ঘুমাইয়া পড়ছিলাম। ফেরিটা যখন পন্টুনে নোঙর করছে তখন আমাদের কোম্পানির ড্রাইভার আমাকে ঘুম থেকে উঠাইয়া বলে ফেরি ডুবে যাচ্ছে।
ওই সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি ফেরি একদিকে কাত হয়ে গেছে। তখন ট্রাকে উঠে নামতে চেষ্টা করেছি কিন্তু যখন দেখলাম কাত হয়ে ফেরি ডুবে যাচ্ছে তখন জীবন বাঁচাতে লাফ দিয়েছি।
কথাগুলো বলেন ডুবে যাওয়া আমানত শাহ ফেরিতে থাকা ট্রাকের চালক শাহজাহান মিয়া।
গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটে আমানত শাহ নামে রো রো ফেরি কাত হয়ে ডুবে যায়। ফেরিটি কাত হওয়ার আগে তিনটি ট্রাক নামতে পারলেও বাকি ১৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পদ্মা নদীতে তলিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি ভোমরা থেকে ঢাকার টঙ্গী যাচ্ছিলাম ট্রাইসি সিরামিক্সের পাউডার নিয়ে। গাড়ির ভেতরে আমার কাগজপত্রও ছিল।
আনুমানিক ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিল ওই ট্রাকে এমন কথাও জানান ওই চালক।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার কমান্ডার এসএম সানোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরির যানবাহনগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
আরএ