বরিশাল: ‘কমিউনিটি পুলিশিং বিচ্ছিন্ন কোন প্ল্যাটফর্ম নয়,দলাদলির কোন প্ল্যাটফর্ম নয়, এটা হলো সমাজ বিনির্মাণের প্ল্যাটফর্ম, সমাজকে সুস্থ রাখার প্ল্যাটফর্ম, সম্প্রীতির প্ল্যাটফর্ম। এটি মানুষের ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম, আর এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন অটুট রেখে জনবান্ধব পুলিশিংয়ের যে বীজ আমরা সমাজে সমাজে রোপণ করেছি সেখানে আমরা সব শ্রেণি-পেশার আপামর জনতা একসঙ্গে আছি’।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়াম বরিশালে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ এর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রতিটি দিবসের যেমনি একটি উদ্দেশ্য থাকে তেমনি কমিউনিটি পুলিশিং ডে'র ও একটি মহৎ উদ্দেশ্য ও প্রতিপাদ্য বিষয় রয়েছে। আর তা হলো সমাজের সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণের প্রত্যাশা ও মতামতের ভিত্তিতে একটি গণমুখী, প্রতিরাধেমূলক ও সমাধানমূলক পুলিশি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি জনমুখী, সেবাধর্মী, স্মার্ট, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক সর্বোপরি একটি মানবিক পুলিশ ইউনিট হিসেবে পারফর্ম করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি নানামুখী পদক্ষেপ। পুলিশিং সেবা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হওয়া সত্ত্বেও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং,গণশুনানি, অভিযোগ বক্স স্থাপন, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ অব্যাহত আছে নানামুখী
তিনি বলেন, ডিজিটাল সার্ভিলেন্সের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, একটি অত্যাধুনিক কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল রুম । অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরো শহরজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি। এছাড়াও ভার্চ্যুয়ালি রয়েছে আমাদের ফেসবুক পেজ, ওয়েব পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম, ভাইবার, টুইটার টেলিগ্রাম, হ্যালো বিএমপি অ্যাপসসহ বিভিন্ন মাধ্যম। মূলত বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং হল একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ। এর মাধ্যমে পুলিশ নীরবে-নিভৃতে আপনাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) মো. রাসেলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, ডিজিএফআই বরিশালের কর্নেল এম এ সাদী, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) প্রলম চিসিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোহাম্মদ এনামুল হক, বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি একেএম জাহাঙ্গির, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন নেগাবান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল হোসেন, মো. জুলফিকার আলী হায়দার,মোঃ মোকতার হোসেন, মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, এস এম তানভীর আরাফাত, মো. আলী আশরাফ ভুঞা, খান মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মনজুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে বরিশাল প্লানেট পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামের সামনে এসে সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
এমএস/এএটি