ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
খুলনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

খুলনা: খুলনায় স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে (২৫) হত্যার পর পু‌ড়ি‌য়ে মরদেহ গু‌মের মামলায় স্বামী রফিক শেখকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জারমানাও করা হয়েছে।

মামলার বিচার শুরুর মাত্র ৯ কার্য দিব‌সের ম‌ধ্যে এ আদেশ দেন আদালত।

এছাড়া অপর এ‌কটি ধারায় তা‌কে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জ‌রিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছ‌রের কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে আসামি রফিক শেখের সঙ্গে ফকিরহাট উপজেলার হালিমা বেগমের ছোট মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্ত্রীর মোবাইলে কথা বলাকে সন্দেহ করত স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে তারা উভয় নেহালপুর থেকে ফকিরহাট উপজেলার খাজুরা এলাকায় রকি শেখের ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠে। সেখানে এসেও তার ওপর একই অভিযোগে নির্মম অত্যাচার করা হয়।

এ ঘটনায় একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১২ আগস্ট বাড়ি এসে রফিক তার স্ত্রীকে না পেয়ে সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বাইরে থাকার কারণ জানতে চান তিনি। উত্তর দিতে না পারায় স্ত্রীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন স্বামী।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন সকালে রফিক রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামের পানের বরজের মধ্যে পেট্রোল ও একটি বস্তার মধ্যে কয়েকটি ইট রেখে আসেন। পরে রাতে বেড়ানোর কথা বলে দুইজন রূপসা ব্রীজসহ বিভিন্ন জায়াগায় যান। ফেরার পথে  পানের বরজের সামনে এনে ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন রফিক। একপর্যায়ে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরে বস্তা পেচিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।

পরে রফিক বাড়ি ফিরে মরিয়মের মাকে প্রতিবেশী রঞ্জন বৈরাগীর মাধ্যমে জানায়, মরিয়মকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে মরিয়মের মা সম্ভাব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিতে থাকে। এর দুইদিন পর তার অর্ধগলিত ও পোড়া মরদেহ পানের বরজের উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যপারে নিহতের মা রফিক শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার জনের নামে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন।

একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: শাহাবুদ্দিন গাজী রফিক শেখকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
এমআরএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।