ঢাকা: মো. আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অনেক মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. রিমন ও তার সহযোগী মহিউদ্দিন শিবলু।
রোববার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আলমগীরকে হত্যার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ তাদের গ্রেফতার করে।
সোমবার (১ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, নিহত আলমগীর ২৯ অক্টোবর রামপুরা থানার বৌবাজার এলাকার আদর্শ গলির কাছে বরফ গলিতে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। রাত আনুমানিক পৌনে ৮টার দিকে গ্রেফতার রিমন ও মহিউদ্দিন শিবলু পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পেছন থেকে আচমকা আলমগীরের দুই পায়ের হাঁটুর পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত ও আহত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে আহত আলমগীরকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে শেরে বাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসাপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আলমগীরের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যুগ্ম কমিশনার বলেন, গ্রেফতাররা পেশাদার মাদকব্যবসায়ী। রিমনের সঙ্গে নিহত আলমগীরের এক সময় বন্ধুত্বও ছিল। নিহত আলমগীরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রিমনকে গ্রেফতার করেছিল। যার জন্য আলমগীরের ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় রিমনের। আর এ ক্ষোভ থেকে রিমন পরিকল্পনা করে মহিউদ্দিনকে নিয়ে তাকে খুন করেন। গ্রেফতার রিমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনে ১৮টি মামলা আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পেয়েছি সোর্সরাই ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের জন্য পরিচয় প্রকাশ করে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই বিঘ্নিত করে। তাদের সাধারণত পরিচয় গোপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনেকেই সেটা মানে, অনেকেই আবার মানে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এর বাইরে এ মামলায় অন্য কারও নাম আমরা পাইনি। তবে এর বাইরে অন্য কারও সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
এমএমআই/আরবি