গ্লাসগো থেকে: জলবায়ু সহিষ্ণুতা তৈরি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশে করেছে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গ্লাসগোতে কপ-২৬ এর সাইডলাইনে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন, বিশেষ করে জলবায়ু এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে, বিশেষ করে জলবায়ু সহিষ্ণুতা তৈরি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এবং দাবালন, বন্যা, প্রবাল ক্ষয়সহ বিভিন্ন চরম জলবায়ু রোগ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু সহিষ্ণুতা তৈরি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ খুব একটা দায়ী না হলেও এর তীব্র ক্ষতিকর প্রভাব ভোগ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নত দেশগুলোর অন্নুত দেশগুলোকে বিপদে সাড়া দেওয়া। উন্নত দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি ১শ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করবো।
উন্নয়নশীল দেশে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তির বহু দেশে কার্বণ নিঃসরণ কমানোর পথে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সহযোগিতা করার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ দেন শেখ হাসিনা।
২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে কোন অগ্রগতি হয়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর আরও বেশি আন্তর্জাতিক চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২১
এমইউএম/এএটি