ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্মঘটের আগেই রাজশাহীতে পরিবহন সংকট!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২১
ধর্মঘটের আগেই রাজশাহীতে পরিবহন সংকট!

রাজশাহী: জ্বালানি তেলের বাড়তি দামের সঙ্গে বাস ভাড়ার সমন্বয়ের দাবিতে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে রাজশাহীতে কর্মবিরতি ডাক দিয়েছে বাস মালিক-শ্রমিকদের একাধিক সংগঠন। এতে করে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

 

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে এ ধর্মঘটের আহ্বান করেন তারা। ধর্মঘট চলাকালীন রাজশাহী থেকে কোনো বাস চলাচল করবে না এবং অন্য কোনো জেলা থেকেও রাজশাহীতে বাস ঢুকতে পারবে না।

এদিকে, ধর্মঘটের ঘোষণার পর রুটগুলোতে বাসের সংখ্যা কমে গেছে। শুরু হয়েছে যাত্রীদের দুর্ভোগ। তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় বাসের সংখ্যাও কমে যায়। হঠাৎ যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা।  

যাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় বাসের সংখ্যা আগের চেয়ে কম। যেসব বাস চলাচল করছে সেগুলোয় ওঠার আগেই বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। এতে ভাড়া নিয়ে অনেক বাসেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট কবে এবং কখন শেষ হবে, এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।

সরেজমিনে গিয়ে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাস টার্মিনালেই রাখা হয়েছে। এছাড়া বাসের স্টাফরা অলস সময় পার করছেন। তবে টার্মিনালগুলোতে বাস কাউন্টার খোলা রয়েছে।

নওগাঁ থেকে রাজশাহী আসা যাত্রী আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকালে দীর্ঘ অপেক্ষার পর একটি বাস পেয়েছিলাম। তবে বাসে ওঠার আগে ২০ টাকা ভাড়া বেশি চাওয়া হয়। অন্য বাস না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই বাসে উঠেছিলাম।  

নাটোর থেকে রাজশাহী আসা আজিজুল হক নামের একজন যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ২টার পর থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে একটি বাস পেয়েছিলাম। বাস আসার পরই সুপারভাইজার বেশি ভাড়া চায়। দীর্ঘ তর্কের পর আগের ভাড়া দিয়েই এসেছি। তবে অন্য অনেক যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাসের সুপারভাইজার আকরাম আলী বাংলানিউজকে বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারণে অনেক মালিক গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। তবে আজ বেশি ভাড়া আদায় করা হয়নি। আগের ভাড়াতেই যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে।  

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব সকাল থেকেই রাস্তায় পড়তে শুরু করেছে। অনেক মালিক তাদের বাস বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমরা ভাড়া বাড়াতে চাই না। আসলে তেলের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে বাস চালানো মুশকিল। আগের ভাড়ায় বাস চালানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়া আগামীকাল থেকে রাজশাহী থেকে আর কোনো বাসই চলবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২১
এসএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।