কক্সবাজার: গণপরিবহণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে কক্সবাজারে আটকেপড়া পর্যটকদের চট্টগ্রাম পৌঁছে দিচ্ছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
পর্যটকদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘবে শনিবার (০৬নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র পর্যটকদের বিনামূল্যে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটন শহর কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সব পর্যটকরা বাস ধর্মঘটের কারণে নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারছেন না, তাদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহায়তায় নিজস্ব পরিবহনে কোন প্রকার ভাড়া ছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। আপনাদের পরিচিত যে সমস্ত পর্যটকগণ কক্সবাজারে আটকে পড়েছেন তাদেরকে পুলিশ লাইন্স, কক্সবাজারে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশের বাস নিয়ে আসা হচ্ছে। আটকা পড়া পর্যটকরা কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন পুলিশ লাইনসে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
পর্যটকদের ভোগান্তি কিছুটা কমাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে পর্যটক হিসাবে শনাক্তের জন্য যে হোটেলে রাত্রিযাপন করেছেন তার ক্যাশমেমো বা বিলের কপি প্রদর্শন করতে হবে। এভাবে একটি বাস ভর্তি হলেই বাস ছেড়ে দেওয়া হবে।
জ্বালানীর দাম বাড়ার অভিযোগে হঠাৎ করে দুর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন পরিবহন মালিকেরা। এতে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার সকালে কক্সবাজার আসা অন্তত ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক পর্যটক অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিমানে কক্সবাজার ছেড়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বাংলানিউজকে জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার, শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন অন্তত অর্ধলাখ পর্যটক। তাদের মধ্যে অর্ধেক চলে গেলেও ধর্মঘটে কক্সবাজার আটকেপড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক। পর্যটকদের অসুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে হোটেল মোটেলগুলোতে ২০ ভাগ ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাকাল কাটিয়ে কক্সবাজারে কিছু পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় এমন ধর্মঘট পর্যটন শিল্পে আবার প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এসবি/এনএইচআর