ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গাংনীতে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
গাংনীতে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মেহেরপুরের মানচিত্র

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা (মাইলমারী-ধলা) গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ মেম্বারের সমর্থকরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।

সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাথুলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামে বর্তমান মেম্বার আজমাইন হোসেন টুটুল ও সাবেক মেম্বার গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের গাংনী, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুরের ভাই সাহাদুল ইসলাম ও জাহারুল ইসলাম।

আহতদের মধ্যে বর্তমান মেম্বার আজমাইন হোসেন টুটুল, নিহত জাহারুল ইসলামের স্ত্রী শেফালি খাতুন, নিহত সাহাদুল ইসলামের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন, মুজিবুর রহমানের ছেলে জেলহাজ উদ্দীন, রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে বজলুর রহমান, নাজিমুদ্দীনের ছেলে গোলাম হোসেন রেজাউল হকের ছেলে আবু শাহ, পাতুল হোসেনের ছেলে মোমিনুল ইসলাম, জাফর আলীর ছেলে বাবলু হোসেন, হিরো আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের গাংনী, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত সাহাদুল ইসলামের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন জানান, সকাল ৯টার দিকে তার চাচা বর্তমান মেম্বার আজমাইন হোসেন টুটুল বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে সাবেক মেম্বার গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। টুটুলের হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে তার হাত কেটে যায়। এসময় তিনি আহত অবস্থায় পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাদের বাড়ি ঘরে ব্যাপক হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এতে তার বাবা ও চাচা নিহত হন। তারা বাড়ির নারী পুরুষের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।  

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার বোধাদাশ গুপ্ত জানান, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে দুইজন মারা যায়।  আহতদের মধ্যে দুজনকে গাংনী, একজনকে মেহেরপুর ও বাকিদের কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়তে বাড়ে।

দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ওই এলাকায় বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১/আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।