ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে ওয়াকওয়েতে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
সিলেটে ওয়াকওয়েতে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন ...

সিলেট: সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আরমান হোসেন (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছেন। দুর্বৃত্তরা তার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ওয়াকওয়েতে ফেলে রেখে যায়।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে নগরের জল্লারপার ছড়ার ওপর নির্মিত ওয়াকওয়েতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত কিশোর আরমান হোসেন সুনামগঞ্জের তা‌হিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তার বাবা নগরের ফুটপাতে ছিন্নমূল ব্যবসায়ী। সে সুবাদে তারা নগরের জল্লারপার জামতলায় একটি কলোনিতে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন।

খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিপলু আহমদ (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ আলী মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ব বিরোধ থেকে তর্কাতর্কির জের ধরে আরমানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিপলু আহমদ (৪২) নামের নগরের কালিঘাটের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ শিপলুই ছিন্নমূল কিশোরদের দিয়ে আমরানকে খুন করিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধ কিংবা প্রেম ঘটিত কারণে থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিচ্ছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহতের মামাতো ভাই নগরের ছিন্নমূল ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমি নগরে রাস্তার পাশে ভাপা পিঠার ব্যবসা করি। রাত ১টার পর বাসায় ফিরে জানতে পারি, ওয়াকওয়েতে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরপর ফুফুকে ফোন করতেই বলেন, আরমানকে কারা মেরে ফেলেছে।

তিনি জানান, তার ফুফাতো ভাই আরমান কাজিরবাজার মাদরাসায় হাফিজি পড়তো। করোনার কারণে আর মাদরাসায় যায়নি। এরপর জল্লারপাড় রসময় উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলেও পড়ালেখায় মনোযোগ না থাকায় স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যান।

তিনি আরও জানান, লালনসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৫/৬ জন সদস্য তাকে আক্রমণ করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারেননি।

স্থানীয়রা জানান, ওয়াকওয়ের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় ওখানে পুলিশি টহল থাকেনা। ফলে রাতে জল্লারপার ওয়াকওয়েতে কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডা জমে। এসব কিশোর গ্যাংকে পোষেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের একাধিক গ্রুপ। রাতে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির জের ধরেই ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে।

‌বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১,  ২০২১
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।