ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন বছরে ৫ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
নতুন বছরে ৫ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

ঢাকা: ২০২২ সালে নতুন বছরে সরকারের সামনে পাঁচটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ বছরও রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য, শ্রমবাজার উন্মুক্ত ও টিকা পাওয়ার চ্যালেঞ্জও কম নয়।

রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণ:

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে কয়েক বছর ধরেই অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে এটি। ২০২২ সালেও অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হবে রোহিঙ্গা ইস্যু। বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে দেশে বিদেশে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এই সংকটের সমাধান হয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার:

চলতি বছর ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাতজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে এটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার অন্যতম ইস্যু হতে পারে এটা।

চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা:

বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরেই দুই বৃহৎ শক্তির দেশ ভারত ও চীনের সঙ্গে ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রেখেছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। একইসঙ্গে দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধনও খুব শক্তিশালী। এদিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার চীন। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের ভূমিকাও কম নয়। তবে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্প্রতিকালে যে বৈরিতা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে সজাগ বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশ এই দুই দেশের সঙ্গে ভারসাম্যের কূটনীতি রক্ষা করে চলেছে। ২০২২ সালেও ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রাখাটা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শ্রম বাজার উন্মুক্ত:

করোনা মহামারীকালে বিদেশে কর্মী প্রেরণ কমেছে। অনেক দেশের শ্রম বাজারে ধস নেমেছে। আবার বিদেশ থেকে দেশে এসে অনেক কর্মী আটকা পড়েছেন। তারা এখন বিদেশে যেতে পারছেন না। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো শ্রম বাজার পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়নি। ২০২২ সালে শ্রম বাজার উন্মুক্ত করাটা কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

টিকা কূটনীতি:

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে টিকা কূটনীতি জোরদার করেছে সরকার। বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনাও সম্ভব হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনো বিপুল পরিমাণ টিকার চাহিদা রয়েছে। বিদায়ী বছরে টিকা পাওয়া ছিল একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। ২০২২ সালেও টিকা পাওয়াটা কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
টিআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।