ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুরি হওয়া নবজাতককে ২০ ঘণ্টায় উদ্ধার করল পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
চুরি হওয়া নবজাতককে ২০ ঘণ্টায় উদ্ধার করল পুলিশ

দিনাজপুর: দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতকে ২০ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত শিউলি আরা (৩৫) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর বালাপাড়া এলাকা থেকে ওই নবজাতকে উদ্ধার করা হয়।

আটক শিউলি আরা সদর উপজেলার ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর বালাপাড়ার মোস্তাফিজারের স্ত্রী।

দুপুরে ওই নবজাতককে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন, ডিবির ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. পারভেজ সোহেল রানা প্রমুখ।  

এসময় পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ওই নবজাতকের মায়ের হাতে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল তুলে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ। চুরি হওয়ার ২০ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ওই নবজাতককে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা শিউলি আরা নামে একজনকে আটক করেছি। প্রথম স্বামীর সংসার ভেঙে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শিউলি। প্রথম স্বামীর ঘরে সন্তান থাকলেও দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে সন্তান না হওয়ায় সংসার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে তিনি এ কাজ করেন।

সন্তানকে ফিরে পেয়ে ওই নবজাতকের মা জায়েদা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাকে ফিরে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। পুলিশ স্যারেরা অনেক কষ্ট করে আমার বাচ্চা আমার কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাই তাদের ধন্যবাদ জানাই। আর যে আমার বাচ্চাকে চুরি করছিল তার আমি বিচার চাই।

নবজাতকের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, বাচ্চা হারানোর কথা শুনে আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমার বুকের মানিক চুরি হয়ে গেছে। পুলিশ ভাইয়েরা আমার সন্তানকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে দিল, আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন। এখন আমি অনেক খুশি।

এর আগে প্রসব ব্যথা নিয়ে সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কন্যা সন্তান জন্ম দেন জায়েদা বেগম। দুপুরের খাবারের সময় হাত-মুখ ধোয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে বোরখা পরিহিত এক নারী শিশুটির দেখাশোনা করবেন বলে প্রসূতি ও তার বোন হাজেরা বেগমকে একসঙ্গে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য বাথরুমে পাঠিয়ে দেন। প্রায় ২০ মিনিট পরে তারা বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন ওই নারীও নেই নবজাতকও নেই। ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে এক নারীকে শনাক্ত করে উদ্ধার অভিযান শুরু করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।