ঢাকা: যে দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়, সে দেশ মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী কথা বলার অধিকার রাখে কি-না প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি গত কিছুদিন ধরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে সমাবেশ করছে। সমাবেশ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মারামারি হচ্ছে। চেয়ার ভাঙচুর হচ্ছে। গতকাল আরও একধাপ এগিয়ে মঞ্চটাই ভেঙে ফেলেছে। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতারা বক্তৃতা করবেন সেটা তাদের মারামারিতে ভেঙে গেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেখানে সমাবেশ ছিল সেখানে সংসদ সদস্য সরোয়ার জামান নিজামকে টেনে-হিঁচড়ে মঞ্চ থেকে নামানো হয়েছে। যারা সঠিকভাবে নিজেদের সমাবেশ করতে পারে না, মারামারি করে, মঞ্চ ভেঙে ফেলে, তারা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে দেশটাই ভেঙে ফেলবে।
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন খালেদার জিয়ার মুক্তি দেওয়া না হলে জেলের তালা ভেঙে হলেও বিদেশ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, যে সব নেতারা জামিন নেওয়ার জন্য বোরকা পরে হাইকোর্টে যায়, মির্জা আব্বাস তাদের একজন। তারা যখন এ কথা বলেন, তখন মানুষ হাসে। এটা হাস্যকর ছাড়া অন্য কিছু নয়।
বন্দিদের নির্যাতনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্টের গুয়ানতানামো একটি কুখ্যাত কারাগার। সেখানে গত ২০ বছর ধরে বন্দিদের বিনা বিচারে রাখা হচ্ছে এবং প্রচণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বছরের পর বছর সেখানে বন্দিদের রেখে নির্যাতন করা হয়। এটি যে একটি নির্যাতন করার কারাগার সেটি সারাবিশ্ব জানে।
তিনি বলেন, গতকাল (১২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। সে বিবৃতিতে এটিও বলা হয়েছে যে দেশটি সারা পৃথিবীতে মানবাধিকার রক্ষা করার কথা বলে। অথচ তাদের দেশে যে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়, তার উদাহরণ হচ্ছে গুয়ানতানামো বে কারাগার। যে দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়, সে দেশ আসলে মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী কথা বলার অধিকার কতটুকু রাখে—এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
জিসিজি/এনএসআর