বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলায় চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা না থাকার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন কথিত চিকিৎসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের এই জরিমানা করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুমন খন্দকার ও ডা. তানজিরুল ইসলামের নেতৃত্বে চিকিৎসকের কাগজপত্র না থাকায় মহিলা কলেজ রোড থেকে কেএম আসাদুজ্জামান জাফর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এলাহি মোল্লা এবং আমতলী সরকারি কলেজের সামনে কেশব চন্দ্র শীল নামে তিনজনকে আটক করে। এ সময় কেএম আসাদুজ্জামান জাফরকে ৫ হাজার, এলাহি মোল্লাকে ৮ হাজার ও কেশব চন্দ্র শীলকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে আটক ওই তিন ব্যক্তি এতদিন বিধি বহির্ভূত ভাবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য দুঃখ ও ক্ষমা চান। সেই সঙ্গে ভবিষতে আর কোনদিন এমন কাজ করবেন না বলে নিজ হাতে মুচলেকা দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুমন খন্দকার বলেন, ওই তিন ব্যক্তির চিকিৎসা দেওয়ার কোন বৈধতাই নেই। অথচ তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে প্রকাশ্যে রোগী দেখেছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আটক তিন ব্যক্তি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আর কোনদিন চিকিৎসা দেবে না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড