ঢাকা: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি না লেখার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত চিঠি প্রত্যাহার দাবি করেছে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি ) দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি করা হয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির আহবায়ক ডা. মো. শাখাওয়াত ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন কমিটির সদস্য সচিব ড. শেখ মো. ইফতেখার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের রেজিস্ট্রার ও সচিব ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯নং ধারা শুধু এলোপ্যাথিক চিকিৎসক, ডেন্টাল চিকিৎসক এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। বিএমডিসি' আইন ২০১০ এর ২৯ ধারা বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয় সরকার কর্তৃক জারিকৃত দি হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অডিনেন্স ১৯৮৩ এর বিধি বিধান অনুসারে।
বক্তারা আরও বলেন, মন্ত্রীপরিষদ কর্তৃক নীতিগত অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন ২০২১ এর বিভিন্ন ধারা উপধারাসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জারিকৃত বিভিন্ন সময়ের অফিস আদেশ, প্রজ্ঞাপন ও নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের নিবন্ধিত হোমিপ্যাথিক চিকিৎসকগণ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (ডা.) পদবী ব্যবহারে অধিকার সংরক্ষণ করেন। বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা অবিলম্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার না লেখার চিঠি প্রত্যাহার দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
আরকেআর