ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে সরকার

ঢাকা: ২০২২ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয়ভাবে উদযাপন করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এর অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হবেন।

 

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা জানানো হয়।  

প্রসঙ্গত, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছর জাতির পিতার জন্মদিবসকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।  

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতার জীবন আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দেশব্যাপী জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার সুমহান নেতৃত্ব এবং তার বর্ণাঢ্য ও দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের গৌরবময় তথ্য তুলে ধরতে হবে।  

সভায় অনুষ্ঠানসূচির আলোচনায় জানানো হয়, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু দিবসের মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন ও অনলাইনে শিশুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

অনুষ্ঠানটি দেশের সব জেলায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠিত হবে কাব্য নৃত্য গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ওপর স্মারক গ্রন্থ, ক্রোড়পত্র,  স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ ও প্রকাশ করা হবে। দূতাবাসগুলোতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে।  

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। দিবসের তাৎপর্য প্রচার ও গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে টেলিভিশন ও বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা, মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।  

সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলদার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জাজরীন নাহার, কেবিনেট ডিভিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।