ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বন্ধ করে দেব: ভূমিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বন্ধ করে দেব: ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা: ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে দেশে বসবাসরত নাগরিকদের ক্ষেত্রে আগামীতে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

এই ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে, নানা সমস্যা হচ্ছে। আমি স্ট্রেট বলে দিয়েছি, যারা প্রবাসে থাকে, তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এলিজেবল। কিন্তু যারা দেশে আছেন তারা নো মোর পাওয়ার অ্যাটর্নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অনলি যারা ব্যাক ড্রিটেন অর ভেরি প্রিভিলেজড পারসন সেক্ষেত্রে ডিসকিশনারি পাওয়ার দিয়ে সে বুঝে তখন সেটা সে করবে। আদারওয়াজ, জেনারেলি নো। এটা আমরা একেবারে বন্ধ করে দেব। এতে দেখা যাবে ধোকাবাজি… কারণ যতোই জায়গার দাম বাড়ছে, লোভ লালসাও ততই বাড়ছে। এ বিষয়ে আমরা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি।

ভূমির নামজারি ডিজিটালাইজডের বিষয়ে সরকার শতভাগের কাছাকাছি সফলতা পেয়েছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটালাইজেশনে অনেকটাই সার্থক হয়েছি। আমি বলতে পারি নামজারি শতভাগ না হলেও শতভাগের কাছাকাছি আমরা অনলাইন করতে পেরেছি। আমরা একটি কাটঅফ টাইম দিয়েছিলাম ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর কোন মিউটেশন হবে না। আমরা কিন্তু এটাতে সফল।

ভূমি উন্নয়ন করও আমরা অনলাইনে শুরু করেছি জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ম্যানুয়ালিও আমরা চালাচ্ছি। কারণ আমাদের অনেক ডাটা এখনও এন্ট্রি হয়নি। সব ডেটা যখন এন্ট্রি হবে, তখন সেখানেও আমরা কাটঅফ টাইম করে ফেলব। আজ থেকে ম্যানুয়ালি কোনো ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া হবে না। আপনারা জানেন, ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া নিয়েও কিন্তু মাঠ পর্যায়ে অনেক হয়রানি আছে। এ বছরের মধ্যে যদি ডেটা এন্ট্রি শেষ হয়ে যায় তাহলে আমরা বছরের শেষদিকে ম্যানুয়ালি ভূমি উন্নয়ন কর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেব।

আমরা মাঠ পর্যায়ে ডিসকিশনারি পাওয়ার কমানোর চিন্তা ভাবনা করছি জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ফিল্ড লেভেলে জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে এখনও তারা স্বেচ্ছাচারিতা করে, হয়রানি করতে চায়। এ কারণে তাদের ডিসকিশনারি পাওয়ার আমরা অনেক ক্ষেত্রে কমিয়ে দেব। যদি সার্টেন টাইমের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারে তাহলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

ল্যান্ড ক্রাইম অ্যাক্টের আজকেই অপিনিয়নের জন্য ওয়েবসাইটে পাবলিস করেছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অপিনিয়ন আসলে আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। উই আর অন দ্যা মুভ। এভাবেই আমরা কিন্তু কাজ করছি।

বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভেই (বিডিএস) সবশেষ সার্ভে হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে যেহেতু এখনও শুরু হয়নি, সেখানে আমরা শুরু করব। এটা পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা নিচ্ছি। আর ড্রোনের মাধ্যমে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইমেজ নিয়ে আমরা করব। এটাতে সফল হলে আমরা রেপ্লিকা করব সারাদেশে। আজকে ডিসি সাহেবরা জানতে চেয়েছেন একসঙ্গে করা যায় কিনা। ইটস নট পসিবল। কারণ আমাদের এখানে ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মাধ্যমে কিন্তু এই সার্ভেটা করতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ডিজিটাল সার্ভের পরে আর কোনো সার্ভের প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।