সিরাজগঞ্জ: গত দুদিন ধরে সিরাজগঞ্জের প্রকৃতিতে বিরাজ করছে এক ধরনের গুমোট ভাব। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে দুদিন ধরেই দেখা মিলছে না সূর্যের।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। সকাল থেকে কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে আদ্র আবহাওয়ার কারণে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। ফলে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও শীতের প্রকোপ খুব একটা নেই।
এদিকে রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, সুতাকল শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকরা কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করেই নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করছে।
গ্রাম থেকে শহরে রিকশা চালাতে আসা আমিনুল বললেন, শনিবার কুয়াশার জন্য রিকশা নিয়্যা বাইর অই না। কিন্তু আইজ রইববার-অফিস খোলার দিন তাই রিকশা নিয়্যা আইচি।
জুলমাত আলী নামে অপর এক রিকশাচালক বলেন, আইজক্যা কুয়াশা ইট্টু বেশি, তার ওপর থাইক্যা থাইক্যা বৃষ্টিও পইড়ত্যাচে। তারপরও কামে আসছি। কারণ কাইল কিস্তি আচে।
নির্মাণ শ্রমিক রাশেদুল, সনি, নাজমুল বলেন, কাম শুরু কইরল্যে এসব কুয়াশা আর শীত কিছুই গায়ে লাগে না।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মোকতেল, আলাউদ্দিন ও নাসির আলী বলেন, গাড়ি চালানোর সময় একটু শীত লাগে। তারপরও বসে থাকলে তো চলবে না।
শহরের সবজি বিক্রেতা রুস্তম আলী ও ছাকাত হোসেন বলেন, কুয়াশায় ঘরে বসে থাকলে চলে না-আমরা সবজি না আনলে শহরের মানুষ পাবে কোথায়? আর আমাদেরই সংসার কিভাবে চলবে। এ জন্য কুয়াশা আর শীতের মধ্যেই সবজি বিক্রি করতে এসেছেন বলে জানান তারা।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, দুদিন ধরেই আকাশে মেঘ রয়েছে। এ কারণে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। রোববার সকাল থেকেই থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকতে পারে। তবে মেঘ কেটে গেলেই শৈত্য প্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাতাসের আদ্রতার কারণে তাপমাত্রা ২৪ ঘণ্টায় আরও বেড়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা শুক্রবার ছিল ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
আরএ