ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ব্যবসায়ীদের ২ ট্রলারে ডাকাতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
মেঘনায় ব্যবসায়ীদের ২ ট্রলারে ডাকাতি

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ব্যবসায়ীদের দুই ট্রলারে দিনে দুপুরে ডাকাতি করে অর্ধকোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন ৩ ব্যবসায়ী।

আহতদের মধ্যে আক্কাস শেখ (৩৫) ও উজ্জল মাঝিকে (২৫) গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সকলে মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ ও গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর সদরের সফরমালী লঞ্চঘাট এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আরেক ব্যবসায়ী হলেন হাকিম গাজী (৪৮)। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ট্রলারে থাকা আহত ব্যবসায়ী হাকিম আলী গাজী বাংলানিউজকে বলেন, আমিরাবাদ থেকে তারা চাঁদপুর পুরাণ বাজার ব্যবসায়ীক মালামাল ক্রয় করার জন্য রওনা হন। মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাটের কাছে এলে স্পিডবোট নিয়ে ৮-৯ জন মুখোশধারী ডাকাত কাটারাইফেল, শর্টগান, রামদা ও রড নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা লুটে নিয়ে যায়। সঙ্গে আমাদের মোবাইলগুলোও নিয়ে যায়। পরে তারা মেঘনা নদীর উত্তর দিকে চলে যায়। ওদের গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।

ট্রলারের মাঝি উজ্জল শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ট্রলারে ডাকাতরা স্পিডবোট দিয়ে উঠেই মারধর শুরু করে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ট্রলারে সঙ্গে আসেনি। তারা আমার কাছে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য টাকা দেয়। সেই টাকার পরিমাণ ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। সব টাকাই ডাকাতরা নিয়ে গেছে।

আহত পাইকারী মুদি ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে ৯ লাখ টাকা ছিল। টাকা দিতে দেরি করায় রড দিয়ে আমার হাত ভেঙে ফেলে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়।

তেলের ডিলার ব্যাপারি ট্রেডার্সের মালিক আতাউর রহমান সবুজ বলেন, তার টাকা ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার, তেলের ডিলার নাইমা ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ হোসেনের ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার, মরিচের পাইকার খোকন মেম্বারের ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার, গৌরাঙ্গ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী কামাল মল্লিকের ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার, রহমআলী গাজীর ছিল ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।

তারা আরো জানায়, আমরা আগামী দিনে চাঁদপুরে গিয়ে কিভাবে মালামাল আনবো সে বিষয়ে আমরা এখন খুবই আতঙ্কিত।

চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশের ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পরপর নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপিকেও পাঠিয়েছি। ব্যবসায়ীদের মিসিং মোবাইলের নম্বর আমার কাছে চলে এসছে। আমি সেগুলি নিয়ে ডাকাতদের ধরার বিষয়ে যা যা করণীয় সবই করছি। আশাকরি ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হব।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতদের ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজই আমরা শুরু করে দিয়েছি। তবে এই ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে এতো টাকা নিয়ে নৌ-পথে মোকামে গেলে আমাদের সহযোগিতা নিলে ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।