ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবার নিয়ে উচ্ছেদ আতঙ্কে আলেয়া বেগম

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
পরিবার নিয়ে উচ্ছেদ আতঙ্কে আলেয়া বেগম আলেয়া বেগম ও তার পরিবার।

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পরিবারের নারী ও শিশুসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে উচ্ছেদ আতঙ্কে সময় পার করছেন জমির মালিক আলেয়া বেগমের পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটি স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিবেশী কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ আলেয়া বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের।

এরই মধ্যে একদফা হামলার পর ফের হামলা ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের শংকায় রয়েছেন তারা।

বোয়ালমারী পৌরসভার ১০৪ নম্বর শিবপুর মৌজার হাল দাগ ২৭২৯ নম্বর দাগের ক্রয়কৃত পাঁচ শতাংশ জমিতে ওই প্রভাবশালী প্রতিবেশী বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার জন্য সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে জানিয়ে জমির মালিক দাবিদার আলেয়া বেগম বলেন, আমি ২০০৯ সালে বায়না মূলে মোজাহার মোল্যার কাছ থেকে এই জমি কিনি। এরপর ২০১৭ সালে জেলা জজ ১ম আদালতের দেওয়ানী ৩২/২০০৯ নম্বর মোকদ্দমার রায় ডিক্রি অনুসারে খোশ কবলা দলিলের মুসাবিদা ক্রমিক নম্বর ১৫১৮ যার দলিল নম্বর ১৫১৭ মূলে জমি কিনি।  

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে এই জমি থেকে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ গাজী কামরুজ্জামান টোকন গংরা আমাকে নানাভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৭ মার্চ রাতে আমার বাড়িতে শতাধিক মানুষ নিয়ে তারা (গাজী কামরুজ্জামান টোকন গংরা) হামলা চালালে আমরা পুলিশে ফোন করলে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার সংবাদে তারা দ্রুত চলে যায়। তিনি বলেন, আমার বর্তমান বসতঘর সংলগ্ন পাশের দাগের আরো দেড় শতাংশ জমি কিনেছিলাম, যে জমিটি এরই মধ্যে দখল করে দেয়াল নির্মাণ করে নিয়েছে তারা (গাজী কামরুজ্জামান টোকন গংরা)।  

ওই নারী আরও দাবি করেন, যেকোন সময় প্রভাবশালী গাজী কামরুজ্জামান টোকন তার লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের পরিবারসহ উচ্ছেদ করতে পারে। তিনি প্রশাসনের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে গাজী কামরুজ্জামান টোকন তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। সব অভিযোগ মনগড়া।  

তিনি জানান, ২৭২৯ নম্বর দাগে মোট ২৯ শতাংশ জমি রয়েছে। আলেয়া আমার জমি দখল করে ঘর তুলে ভোগ দখলে রয়েছে। তারা জমির দলিল করলেও আইনগত বৈধতা না থাকায় এখন পর্যন্ত মিউটেশন করতে পারেনি। জমির দলিল থাকলেও আইনগতভাবে তারা জমি পাবে না এখানে।  

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, দুই পক্ষই প্রতিনিয়ত জমি নিয়ে ঝামেলায় লিপ্ত হন। মানবিক পুলিশ হিসেবে প্রতি মুহূর্তে কল পেলেই সেখানে যাচ্ছি আমরা। জমির বিষয়টি আদালতে ফয়সালা হবে, তবে আইন শৃঙ্খলার কোনো অবনিত না হয় সে বিষয়ে আমরা দৃষ্টি রেখেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।