নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়ায় মুরগির খামারের বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি চিতা বাঘের মরদেহ উদ্ধারের পর আরও বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রংপুরের বিশেষ টিমের তত্ত্বাবধানে মৃত চিতাবাঘের অপর সঙ্গীকে খুঁজতে গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপের সন্ধান পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রংপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সিংহ বলেন, আমরা বাঘটির সন্ধানে কাজ শুরু করেছি। বাঘটিকে হত্যা না করতে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসীকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিতাবাঘটির সন্ধানে ঢাকা থেকে বন্য প্রাণী ক্রাইম পেট্রল টিম ও রাজশাহী থেকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ টিম এলাকায় এসে কাজ শুরু করেছে।
এদিকে মারা যাওয়া চিতাবাঘটি শুধু বৈদ্যুতিক ফাঁদে, নাকি পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত না হওয়া বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি স্মৃতি রানী সিংহ। তিনি বলেন, বাঘ হত্যার প্রমাণ পেলে বন্যপ্রাণী আইনের ৩৭ ধারা মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, আপাতত খামারের বেশ কিছু এলাকা লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যাতে কেউ না আসে। লোকজন যাতে কয়েকদিন নিরাপদে থাকেন সেজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আর ঘটনার পরই এলাকা ছেড়েছেন খামারি অলিয়ার রহমান। এরপর তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে খামারের মুরগি চুরি হচ্ছিল। ধারণা করছিলাম শিয়াল এটা করেছে। এ কারণে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করি। কিন্তু বাঘ আসতে পারে সেটা চিন্তাও করিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ১৯ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড