ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ু মোকাবিলায় যুব সমাজের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জলবায়ু মোকাবিলায় যুব সমাজের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা

ঢাকা: টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে একটি হলো জলবায়ু পরিবর্তন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা এবং সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার সুযোগ রয়েছে।

 

কমনওয়েলথ দিবস ২০২২ উপলক্ষে, জাগো ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশের ১৫টি জেলায় ১৫টি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।  

বাংলাদেশ এবং অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশগুলোতে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে তরুণদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে আলোচনার জন্য “ইয়ুথ, ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যান্ড কমনওয়েলথ” শিরোনামে একটি ওয়েবিনারও করা হয়।

এছাড়া কপ-২৬ এর ফলাফল, জলবায়ু স্থিতিশীলতা, অভিযোজন, সক্রিয়তা এবং সমাধানে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং তরুণদের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের ১৫ জেলার যুব ও সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, মৌলভীবাজার, সিলেট, দিনাজপুর, বগুড়া, বরিশাল, কুমিল্লা, শেরপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

২২৫ জন যুব নেতা কথোপকথনে অংশ নিয়ে টেকসই জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের সম্প্রদায়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশে লো-কার্বন সোসাইটি গড়ে তোলা, দেশের সর্ববৃহৎ কর্মশক্তি তথা তরুণদের কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সামগ্রিক সচেতনতা গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু, এটি জলবায়ু স্থিতিশীলতা, বৈশ্বিক এবং প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং জলবায়ু প্রভাবগুলো প্রশমনে অবদান রাখতে যুবকদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়।

এ সময় অংশগ্রহণকারীদের একজন বলেন,  ‘দেশের একজন দায়িত্বশীল যুবক হিসেবে বলতে চাই, কমনওয়েলথ যুব নেতাদের এই সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যে একত্রিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সমস্যা তৈরিতে সরাসরি জড়িত না হয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

এর পাশাপাশি সম্প্রতি একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছিল যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রখ্যাত জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করণীয় এবং তরুণদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাদের পরামর্শগুলো উপস্থাপন করেছিলেন।  

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ফারাহ কবির বলেন, ‘কমনওয়েলথকে সত্যিকারের একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করুন, স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু সংকটের সমস্যা মোকাবিলায় প্ল্যাটফর্মটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপে অন্তর্ভুক্ত করুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. দিলারা জাহিদ বলেন, যুব সমাজই আজকের দিনের পরিবর্তনের কারিগর। সম্প্রদায়ের যে কোনো টেকসই পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই যুবকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন; তাই, তরুণদের জন্য জলবায়ু অভিযোজন এবং কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের নিয়মিত জীবনে বিভিন্ন সামাজিক প্রভাব ফেলে যেমন স্বাস্থ্য সমস্যা, জীবিকার সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়েবিনারটি জলবায়ু পরিবর্তনের আর্থ-সামাজিক প্রভাবগুলো এবং সঙ্কট মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার উপায়গুলোর বোধগোম্যতা ত্বরান্বিত করেছে, পাশাপাশি তরুণদের দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হতে এবং বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।

ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন তাহরিম চৌধুরী আরিবা, বাংলাদেশ লিড, গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন কাউন্সিল (জিএসসিসি), ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশন।

ওয়েবিনার এবং এই গোল টেবিল বৈঠকের উদ্দেশ্যই ছিল জলবায়ু পরিবর্তন রোধে তরুণদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আলোচনার জন্ম দেওয়া এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করার জন্য কমনওয়েলথ দেশগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।