ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যবসায়ী শিবুলাল অপহরণ ঘটনায় আটক ৬

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
ব্যবসায়ী শিবুলাল অপহরণ ঘটনায় আটক ৬

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস ও তার ব্যাক্তিগত গাড়ির চালককে অপহরণের পর ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- শামিম আহমেদ, আক্তারুজ্জামান সুমন, মো. আতিকুর রহমান পারভেজ, মো. মিজানুর রহমান সাবু গাজী, মো. বিল্লাল ও সাব্বির হোসেন জুম্মান।

তারা সবাই পটুয়াখালীর শহরের বাসিন্দা।

রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের হলরুমে  আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার মূল হোতা মো. মামুন ওরফে ল্যাড়া মামুনসহ তিন পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

তিনি ঘটনার অভিযানে থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং করেন।

এসময় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুম প্রান্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মাঈনুল হাসানসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা যুক্ত ছিলেন।

এছাড়াও অতিরিক্ত এসপি (সদর সার্কেল), সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ১১ এপ্রিল রাতে শহরের নিজ বাসায় যাওয়ার সময় গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর- শাখারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কোনো এক স্থান থেকে শিবু লাল দাস ও তার গাড়িচালককে অপহরণ করা হয়। রাত ১২টা ২মিনিট ও ১টা ৫৯ মিনিটে শিবু লালের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানায় ভিকটিম তাদের কাছে আছে। ১২ এপ্রিল দুপুর ২টার মধ্যে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিলে তাকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবে, নতুবা মরদেহ পাবেন।

পরে এসপি মো. শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সবল টিম সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে শিবুলাল দাসের গাড়িটি একটি পেট্রোল পাম্প থেকে উদ্ধার করে। ২৪ ঘণ্টা পরে শহরের এসপি কমপ্লেক্স শপিংমলের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে ল্যাড়া মামুনের গোডাউন থেকে জীবিত অবস্থায় শিবু লাল দাস ও তার ড্রাইভার মিরাজকে উদ্ধার করা হয়।

এরপর ভিকটিমের জবানবন্দির ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আলামতসহ প্রাথমিক ভাবে ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে ভিকটিমকে বহনকৃত ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাও উদ্ধার করা হছে।

লিখিত ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, মূল হোতা মো. মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুনসহ তিন পরিকল্পনাকারী ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক থাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডিবি টিম ও পটুয়াখালীর জেলার একাধিক টিম তাদের গ্রেফতারের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।