খুলনা: ধান উৎপাদনে বরাবরই এগিয়ে থাকেন খুলনার কৃষকরা। কিন্তু গত দুই বছর ধরে কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় এবং কৃষি সরঞ্জামসহ জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ায় ধান মাড়াই ও ধান কাটতে বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

আজোগড়া এলাকার কৃষক আলাল মোল্লা বলেন, গত কয়েক বছর করোনার কারণে ধান কাটার শ্রমিক পাইনি। কালবৈশাখী ঝড়ে সব ধান নষ্ট হয়ে যেত আমাদের। মেশিন দিয়ে ধান কাটতে গেলে যে খরচ হয় তা ধান বিক্রি করে ওঠে না। আমাদের লোকসান হতো। সেখানে যুবলীগের এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের অনেক লাভ হবে।

অপর কৃষক শুনু গাইন বলেন, আমার সাড়ে সাত বিঘা জমি। গত বছর ধান কাটতে ও মাড়াই করতে খরচ হয়েছে সাড়ে সাত হাজার টাকা। এর সঙ্গে বীজ, সেচ, সার, কীটনাশক খরচ, যানবহন খরচ যোগ করলে যে উৎপাদন খরচ হয় তা আমরা ধান বিক্রি করেও পাই না। ফলে ধান চাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল আমাদের। এখন আমাদের কিছুটা লাভ হবে।
 
তিনি বলেন, আগে এক মণ ধান উৎপাদন খরচ হতো ৭৫০ টাকার মতো। সেখানে বাজারে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা মণ বিক্রি হলে আমাদের কিছুটা লাভ হয়। কিন্তু বাজারে ধানের মূল্য সাড়ে আটশ’ টাকার বেশি হয় না। বাড়ি বাড়ি এসে যারা ধান কেনেন তারা দিতে চায় ৭০০ টাকা মণ। বলেন কি করে লাভ করবো আমরা। আজকে যুবলীগের দেওয়া কৃষি সরঞ্জাম আমাদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভের মুখ দেখাবে।  

এ বিষয়ে খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, কৃষি আমাদের প্রধান পেশা। খুলনা অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণেই আমরা করোনার সময় থেকে প্রতি বছরই কৃষকের উপকারে কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করে আসছি। তার লক্ষ্যে শনিবার খুলনার তেরখাদার আজোগড়ায় কৃষকদের মধ্যে ধান মাড়াইয়ের মেশিন ফুকো কল যার মূল্য দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ধান কাটার মেশিন এস ক্রাব মেশিন যার মূল্য এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
 
কৃষি সরঞ্জাম বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা জহির আব্বাস, ইয়াসিন আরাফাত, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, মেহেদী হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রিয়েল শেখ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
আরআইএস