রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়েছিল এক নবধূর মরদেহ। তার পাশে ছিল না কেউই।
শুক্রবার (২০ মে) দিনগত রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই নারীর মরদেহ পড়েছিল। পুলিশ শনিবার (২১ মে) সকাল ১১টার দিকে ওই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এর আগে, তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত নববধূর নাম কারিমা আক্তার মীম (২০)। তিনি উপজেলার ঘাসিগ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে এবং একই উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে শিমুল হোসেনের স্ত্রী। ছয় মাস আগে শিমুলের সঙ্গে মীমের বিয়ে হয়।
পরিবারে বরাত দিয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই মীমকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, যৌতুকের দাবিতে মীমকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে শুক্রবার বিকেল শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। কিন্তু স্বামীর বাড়ির লোকজন বলছেন মীম নাকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এটা বলে প্রচার করেছেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক মীমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ ওখানে রেখে স্বামী ও স্বজনরা পালিয়ে যান।
মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় আপাতত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তার স্বামীকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। নিহত মীমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
এসএস/এএটি