ঢাকা, শনিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদপুর সরকারি কলেজে দেশীয় ফলের উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
চাঁদপুর সরকারি কলেজে দেশীয় ফলের উৎসব

চাঁদপুর: বাহারি রকমের দেশীয় ফলের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা এবং সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই প্রথম চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

রোববার (১২ জুন) সকাল ১০টায় কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।

সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাসুদুর রহমান, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

ফল উৎসবে বিভাগ ভিত্তিক স্টলে সজ্জিত করা হয় প্রায় ৪৩ রকমের দেশীয় ফলের বাহার। স্টলগুলো আমন্ত্রিত অতিথিরা পরিদর্শন করেন।

বিভাগ ও ফলের তালিকা ছিল- বাংলা বিভাগ: বেতুন, বৈঁচি, বেলুম্ব, কাঠ বাদাম ও তালের শাঁস। ইংরেজি বিভাগ: আনার ও ডালিম। ইতিহাস বিভাগ: পেঁপে। সমাজকল্যাণ বিভাগ: কামরাঙ্গা, জাম্বুরা ও বেল। অর্থনীতি বিভাগ: কলা, ডাব ও নারিকেল। পদার্থবিদ্যা বিভাগ: তরমুজ। প্রাণিবিদ্যা বিভাগ: আমলকি, অড়বরই, বহেরা ও হরিতকি। রসায়ন বিভাগ: লটকন ও গাব। ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিভাগ: ডেউয়া ও কাউ। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ: জাম ও সফেদা। দর্শন বিভাগ: নুইন্যা, করমচা ও গুটি জাম। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ: জামরুল, ডুমুর, দেশি খেজুর। ব্যবস্থাপনা বিভাগ: আম। হিসাববিজ্ঞান বিভাগ: লিচু ও পেয়ারা। গণিত বিভাগ: কাঁঠাল। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ: আনারস, ছাগলনাদি, আমড়া, বুতিজাম, জগডুমুর। ভূগোল বিভাগ: চালতা, তেঁতুল ও লেবু।

প্রধান অতিথি মেয়র মো. জিল্লুর রহমান বলেন, মধুমাসে চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। উৎসবে এসে ফলের যে সংগ্রহ দেখলাম তা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সংগৃহীত ফলগুলোর সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত থাকলেও এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। এর মধ্যে অনেক ফল আমাদের খাওয়ারও সুযোগ হয়নি। চাঁদপুর সরকারি কলেজ এখনো জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। ফল উৎসবের এমন আয়োজন অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনুসরণ করবে এবং এসব ফল সংরক্ষণের চেষ্টা করবে।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ উৎসব সম্পর্কে বলেন, আমাদের এই ফল উৎসবের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে দেশীয় ফলের সঙ্গে পরিচিত করা এবং সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া। আমরা জানি দেশে অনেক ফল রয়েছে এবং অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। আজকের আয়োজনে প্রায় ৪০টির বেশি ফল সংগ্রহ করে উপস্থাপন করা হয়েছে এসব ফলের মধ্যে অনেক দেশীয় ফল নতুন প্রজন্ম চেনেই না এবং বিলুপ্তির পথে। ওইসব ফলগুলো কিভাবে আবার সংরক্ষণ করে আমরা উৎপাদনে যেতে পারি সে বিষয়ে উৎসাহ দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, আজকের আয়োজনের মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কারিকুল্যামের পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া। কারণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় নিজেরা হাতে কাজ করতে অভ্যস্ত না। ফল কিভাবে সংরক্ষণ, আবহাওয়া ও পরিস্থিতি অনুকুলে রেখে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে উপস্থাপন করা যায়, তা শিক্ষার্থীদের আলাদা একটি কক্ষে হাতে কলমে শেখানো হয়েছে।

উৎসব চলাকালীন সময়ে কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।