শরীয়তপুর: পদ্মায় দুই ফেরির সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত এবং নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
রোববার (১৯ জুন) ভোরে শরীয়তপুরের টার্নিং পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ খোকন। তিনি পিকআপ ভ্যানের চালক। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।
বিআইডব্লিউটিসির মেরিন বিভাগের ডিজিএম মো. শাহজাহানকে প্রধান করে করা তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) দুপুরে বিআইডব্লিউটিসি মেরিন বিভাগের সহ-মহাব্যবস্থাপক আহামেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শী, ফেরিচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রাত থেকেই পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। ভোরে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় জাজিরা পয়েন্টের কাছাকাছি টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছালে স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরি সুফিয়া কামালের সঙ্গে ফেরি বেগম রোকেয়ার সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ফেরির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সংঘর্ষের পর দুটি ফেরি নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যানবাহন ও যাত্রীদের নামায়।
এ ব্যাপারে ফেরি বেগম রোকেয়ার মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস বলেন, জাজিরা পয়েন্টের কাছাকাছি মোড়ে পৌঁছালে প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরি সুফিয়া কামালের সঙ্গে তাদের ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের ফেরিতে থাকা আট-১০টি গাড়ির ক্ষতি হয় ও একটি পিকআপ ভ্যানের চালক নিহত হন।
আর ফেরি সুফিয়া কামালের মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় টার্নিংয়ে ফেরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এসআই