ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজধানীবাসীর ভোগান্তির আরেক নাম যানজট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
রাজধানীবাসীর ভোগান্তির আরেক নাম যানজট ছবি: শাকিল

ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার। এদিন সকাল থেকে অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের গণপরিবহনের পেছনে ছুটতে দেখা যায়।

সকাল থেকে সড়কে ছিল গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মোবাইল অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলচালকদের। তারাও ছিলেন যাত্রীর অপেক্ষায়।

গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোবাইল অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলে করে যে যার মতো পৌঁছেছেন তাদের গন্তব্যে। সড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ ও বিভিন্ন সড়কের সংস্কারকাজের কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। এখন রাজধানীবাসীর কাছে ভোগান্তির আরেক নাম যানজট।  

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।  

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে বনানী ফ্লাইওভার হয়ে কাকলী থেকে মহাখালী, খিলক্ষেত থেকে কুড়িল হয়ে নর্দ্দা, নতুনবাজার থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা, গুলশান থেকে বনানী ও মহাখালী, হাতিরঝিল থেকে রামপুরা, হাতিরঝিল থেকে মগবাজার হয়ে কাকরাইল-মালিবাগ, মৌচাক, পল্টন ও গুলিস্তান হয়ে মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তীব্র যানজট।

রাজু আহমেদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় মিরপুর-১২ নম্বরের বাসা থেকে মালিবাগের অফিসে যেতে রওয়ানা হন। কিন্তু অফিস টাইম পার হয়ে আরও ৪৫ মিনিট পর তিনি অফিসে পৌঁছান।  

তিনি বলেন, আজকে দেরি করে অফিসে ঢুকতে হয়েছে। প্রতিদিন এ যানজটের মধ্যে অফিস করতে হচ্ছে। সড়কে বাসচালকরা অনেক বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। এতে সড়কে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় যানজট ও দুর্ঘটনা।  

রাজু আহমেদ বলেন, আমরা সড়কে জীবনটা হাতে নিয়ে চলাফেরা করি। সড়কে যেকোনো মুহূর্তে হতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ কারণে যেকোনো মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে দুঃসময়। এসব নিয়ে প্রতিদিনের জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য আমাদের ছুটে চলা।

বিকল্প পরিবহনের বাসচালক মো. আসলাম বলেন, যানজটের কথা আর কী বলবো। এ সড়কে সকাল, দুপুর ও রাত সব সময় লেগে থাকে যানজট।

তিনি বলেন, রোকেয়া সরণী সড়কের বেহাল দশার কারণে আমরা আগে যেখানে মিরপুর থেকে গুলিস্তান চার থেকে পাঁচ বার আসা-যাওয়া করতাম। জ্যামের কারণে বর্তমানে তিন থেকে চার বারের বেশি মিরপুর থেকে গুলিস্তান ট্রিপ মারতে পারি না।

এদিকে সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।