ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে পানির চাপে নদীতে বিলীন রাস্তা-কালভার্ট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২২
বাগেরহাটে পানির চাপে নদীতে বিলীন রাস্তা-কালভার্ট

বাগেরহাট: পানির চাপে বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ সেতু সংলগ্ন কেশবপুর রাস্তার অংশ বিশেষ ও কালভার্ট ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ভৈরব নদীর পানির চাপে কালভার্ট ও দুই পাশের প্রায় ২০ ফুট রাস্তা ভেঙে যায়।

এদিকে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বাগেরহাট শহরের সঙ্গে মুনিগঞ্জঘাট, চরগ্রাম, কেশবপুর, সুলতানপুর, ভদ্রপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে শহরের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করছেন তারা। রাস্তাটিকে চলাচলের উপযোগী করতে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে বুধবার বিকেল থেকে বালুর বস্তা ও মাটি দিয়ে মেরামত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় মো. জুয়েল শেখ বলেন, হঠাৎ করে ভৈরব নদীর পানি অনেক বেশি বেড়ে গেছে। দুপুরের দিকে রাস্তার উপর দিয়ে পানি উপচে গ্রামে ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে কেশবপুর কালভার্টের দুই পাশের প্রায় ১৫ ফুটের মতো রাস্তা ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এই রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষ চলাচল করেন। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহ আলম বিপ্লব বলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলামের নির্দেশনায় স্থানীয় লোক দিয়ে আমরা রাস্তা মেরামত শুরু করেছি। আশাকরি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে রাস্তাটি উঁচু করার দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পাউবো ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হবে।

বাংলাদেশ  সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।