ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘বন্যা মোকাবিলায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং-মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
‘বন্যা মোকাবিলায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং-মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে’  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বন্যা মোকাবিলায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও মুজিব কিল্লা (আশ্রয় কেন্দ্র) নির্মাণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।  

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কালের কণ্ঠের কনফারেন্স রুমে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি, ব্র্যাক ও কালের কণ্ঠের যৌথ আয়োজনে ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আকস্মিক বন্যা: শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিব কিল্লায় ১৫টি কক্ষ, ১৩টি বাথরুম থাকবে।  ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণের কাজ চলছে। ৫০টি নির্মাণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এবার একেকটি মুজিব কিল্লায় ৮০০ জনের জায়গায় ৩-৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে হয়েছে। এজন্য সরকার এক হাজারটি নতুন মুজিব কিল্লা নির্মাণ করবে।  

ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজেদুর রহমান বলেন, পানি যখন বাড়ছে তখন শুধু সেই নদীর পানি বৃদ্ধি নয় বরং নির্দিষ্ট গ্রামে কত পরিমাণ পানি বাড়বে সেটা বললে সাধারণ মানুষ আরও উপকৃত হতো।

জিআইজেডের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ফারহানা রব সাথী বলেন, হবিগঞ্জ ও সিলেট থেকে খাবার সুনামগঞ্জে নিয়ে যেতে হয়েছিল। খাবার বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, এক টাকা দামের জিনিস ২০ টাকা নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়েছে কিছু মানুষ।

ছড়া (খাল) দখল হয়ে গেছে সেটা দখলমুক্ত করা, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নসহ কিছু পরমার্শ দেন ফারহানা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, পানির উচ্চতা-বৃষ্টিপাত তৃতীয় সর্বোচ্চ ছিল এবার। সিলেট বিভাগে ৫০ শতাংশেরও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জুন মাসে আকস্মিক বন্যা হওয়ায় কিছু গ্যাপ ছিল। এ জায়গায় আমাদের উন্নতির সুযোগ আছে। জলবায়ু পরিবর্তনে ৬০০ মিলি ধারণা করা হয়েছিল কিন্তু এবার ২ হাজার ৪৫০ মিলিমিটার হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম বলেন, পাঁচটি নদী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। নদী প্রবাহিত বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বন্যায় পানি প্রবাহিত হতে পারেনি। নদী খনন করতে হবে।  

তিনি বলেন, হাওরের রাস্তা বৈজ্ঞানিকভাবে হয়েছে কিনা সঠিক তথ্য জানি না, তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবার ফ্লাইওভার করা হবে।

একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক নাজনীন মুন্নি বলেন, শিশুদের জন্য খাদ্য ছিল না। খুব অমানবিক হয়েছে সরকার যখন বলেছে সিলেটের ১৩-১৪ উপজেলার জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত দুর্যোগ মোকাবিলায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এনবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।