ঢাকা: বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ গণতন্ত্র। গণতন্ত্র বাংলাদেশের ইতিহাসের অভ্যন্তরে রয়েছে।
এমাজউদ্দীন আহমেদ রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় আকবর আলী খান এসব কথা বলেন।
আকবর আলী খান বলেন, প্রাচীনযুগের শাসক গোপাল সিংহাসন আরোহন করেছিলেন গণতান্ত্রিক ভোটপদ্ধতির মাধ্যমে। বৌদ্ধরাও(পাল যুগে) গণতান্ত্রিক পদ্ধতি শাসনব্যবস্থা পরিচালনায় ব্যবহার করতেন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া ধর্মনিরেপক্ষতা সম্ভব না। বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে গণতন্ত্রের মাধ্যমে।
গণতন্ত্রের কাজ চার দশক ধরে করেছেন এমাজউদ্দীন আহমদ তাঁর লেখার মাধ্যমে, কর্মের মাধ্যমে বলে মন্তব্য করেন আকবর আলী খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ড. এমাজউদ্দীন আহমদ মানুষের জন্যে লিখেছেন। গণতন্ত্রের জন্যে লিখেছেন, ভোটাধিকারের জন্যে লিখেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ যারা করেছেন তারা দুইটি কারণে। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও অপরটি গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠা।
অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, প্রকৃত গবেষণা কেন্দ্রের রূপ দেওয়া দরকার এমাজউদ্দীন আহমেদ রিসার্চ সেন্টারকে। স্থায়ী গবেষক রেখে কর্মপরিকল্পনা করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও এমাজউদ্দীন আহমেদ রিসার্চ সেন্টারের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ছিলেন জনগণের বুদ্ধিজীবী। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে ১-১১ এর সরকারের সময়ও তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এনবি/এসআইএস