ঢাকা : বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যালয়ে ‘সীমান্ত সম্মেলনের’ আনুষ্ঠানিক বৈঠক বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। সকাল ৯ টায় রাজধানীর পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ বৈঠক বসে।
ভারতের পক্ষে বিএসফ মহাপরিচালক রমণ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন। অপরদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ভারতীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ফ্রন্ট্রিয়ার আইিজি, সেদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিডিআর এর উপ-মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট পরিচালক, সেক্টর কমান্ডার, পিলখানা সদর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর-অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আগামী ২৭ সেপ্টম্বর যৌথ চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে বলে বিডিআর সূত্র জানিয়েছে।
সকালে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা চলছে-খুব শিগগির ভাল খবর জানাতে পারবো। ’
পাঁচ দিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করা, হত্যা করা, আহত করা, অবৈধভাবে সীমান্ত লাইন অতিক্রম, বাংলাদেশিদের জমিতে জোরপূর্বক চাষাবাদ করা, যখন-তখন হামলা, লুটপাট চালানোসহ সীমান্ত সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফ মহাপরিচালক পিলখানায় পৌঁছে প্রথমে বিডিআর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় বিএসএফ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। বিডিআর শহীদ মিনার থেকে বিএসএফ মহাপরিচালক বিডিআর সদর দপ্তরে এসে পৌঁছলে বিডিআর এর উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ওবাইদুল হক এবং পরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) কর্ণেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় বিডিআরের একটি চৌকস দল তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
বাংলাদেশ সময় ১৩০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০