ঢাকা: বিয়ের পরেও চাকরি চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সুমি আক্তারের (২২)। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই পরিস্থিতি পাল্টতে থাকে, চাকরি ছাড়তে শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওয়া হচ্ছিল নানা চাপ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী মো. রাসেল মোল্লা ওরফে রূপককে (২৮) গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
তিনি জানান, ২১ জুলাই মানিকগঞ্জের ঘিওর থানাধীন শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমির গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্তের ধারাবাহিকতায় আসামি রুপককে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রুপককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, মানিকগঞ্জ জজকোর্টে অ্যাডভোকেটের সহকারী হিসেবে প্রায় নয় বছর ধরে কাজ করতেন। আড়াই মাস আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে সুমির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সুমি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।
কথা ছিল সুমি বিয়ের পরও চাকরি করবেন। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে চাকরি ছাড়ার জন্য নানা চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে চাকরি ছাড়ার জন্য রাজি হলে অফিসের অনুরোধ অনুযায়ী কিছুদিন সময় চান সুমি। চাকরি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ জুলাই রূপক ও সুমির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমিকে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন রূপক। এ সময় তার শাশুড়ি রূপককে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রূপক আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সুমির গলায় কোপ দেন। এতে সুমি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২/আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা,
পিএম/কেএআর/এএটি