ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ইউসিবি ব্যাংকের ইসি চেয়ারম্যানকে হয়রানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
ইউসিবি ব্যাংকের ইসি চেয়ারম্যানকে হয়রানি

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে হয়রানি করা হয়েছে। সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি চট্টগ্রামে গুম হওয়ার নাটক সাজিয়ে আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে ফাঁসানোর চেষ্টাও করা হয়েছে।

তবে পিবিআই’র অনুসন্ধানে এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব  সংবাদ ও গুম হওয়ার ঘটনা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে,  ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর একটি অনলাইনে ‘চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর জায়গায় ভূমিমন্ত্রীর ভাইয়ের কুদৃষ্টি’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয়। ওই সংবাদে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম নগরের সার্সন রোডের জেএস কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জায়গা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এমনকি সেখানে নির্মাণকাজ করতে গেলে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। ’ এরপর আনিসুজ্জামান চৌধুরী মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রামে যার সি.আর মামলা নং ২১৭০২০২০ (কোতোয়ালী), তারিখ ০৯১২২০২০ইং। ধারা-৫০০৫০১৫০২ সঃ বিঃ। মামলাটি বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২য় আদালত চট্টগ্রাম, অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ সুপার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে নির্দেশ প্রদান করে। পিবিআই’র অনুসন্ধানে এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে দাখিল করা প্রতিবেদনে সংবাদটি অসত্য বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্তে উঠে আসে, মামলার বিবাদীরা ২০২০ সালের ২৪ অক্টোর বাদী আনিসুজ্জামান চৌধুরীর মানহানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ওই জমির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ মেজবাউদ্দৌলা ২০১১ সালের ২৭ জুন তারিখে জেএস কনাস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাথে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেন। পরবর্তীতে তিনি জেএস কনস্ট্রাকশন বরাবর একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। কিন্তু জেএস কনস্ট্রাকশন চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো কাজ না করে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন। এরপরও ওই জমি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পাওয়ার অব এটর্নি আইন-২০১২ মতে পূর্বে প্রদত্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিলপূর্বক নোটিশ প্রদান করেন জমির মালিক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দৌলা। ২০১১ সাল থেকে অপেক্ষার পর ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহার করেন। এরপর জমির মালিক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দৌলা চৌধুরী ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর আনিসুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরীর কাছে ওই জমি বিক্রির পরে দখল হস্তান্তর করেন।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অন্যের জমি দখলের চেষ্টা নয়, নিজ অর্থে কেনা জমিরই দখল বুঝে নিয়েছি। আমাকে ফাঁদ পেতে বেকায়দায় ফেলতে নানাবিধ চক্রান্ত চলছে।  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।