চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমানের একমাত্র পাইলট প্যারাসুটের সাহায্যে নদীতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণরক্ষা করেছেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি আমিনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, দুপুর পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট মো. সানজিদ এফ-সেভেন নামের যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড়াল দেবার ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেটি মেরিন একাডেমির কাছে কর্ণফূলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
প্যারাসুটের সাহায্যে নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন পাইলট সানজিদ।
এসময় প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণকারী একটি হেলিকপ্টার দ্রুত নিচে নেমে পাইলটকে তুলে নিয়ে যায়।
তাকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ওসি বাংলানিউজকে জানান বিমানটি জোয়ারের টানে ভাসতে ভাসতে দ্রুত ডুবে যায়।
এরই মধ্যে বিমানটি উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইএসপআর’র ভাষ্য
বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) একটি সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ জঙ্গি বিমান নিয়মিত প্রশিণ উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এর পাইলট জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। এ সময় চট্টগ্রামের শাহ আমানত (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। জঙ্গি বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ার আগে পাইলট ফাইট লেফটেন্যান্ট আহমেদ সানজিদ প্যারাস্যুটের মাধ্যমে নিরাপদে অবতরণ করেন। তিনি সুস্থ আছেন। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেণের জন্য তাকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তিনি চিকিৎসকের পর্যবেণাধীন রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শাহ মো. জিয়াউর রহমান ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম পৌছেছেন। তিনি পাইলটের শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নিয়েছেন। তিনি উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০