বেনাপোল (শার্শা, যশোর): ঘোষণা বহির্ভূত ফল আমদানি করায় বেনাপোল স্থলবন্দরে অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ অতিরিক্ত ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৮ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) স্থলবন্দরের ৩১ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে ১২ আমদানিকারকের কাছ থেকে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের গোপন তথ্যে এই অভিযান চালানো হয়। আমদানিকৃত ফলের মধ্যে রয়েছে- আনার, আপেল, মাল্টা ও টমেটো। এসবের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- এনি এন্টার প্রাইজ, হাসান হোসেন এন্টার প্রাইজ, সাব্বির ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল, বিকে ফুড লি. ঢাকা, মেসার্স আল্লাহ দান ঢাকা, জেএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চাপাইনবাবগঞ্জ, আরাফাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, হাসান হোসেন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সোনালী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ফারিয়া ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল, আনাস ফুড ও গাজী ইন্টারন্যাশনাল। আর এসব পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ড রয়েল এন্টারপ্রাইজ, মুক্তি এন্টারপ্রাইজ, জেরিন এন্টারপ্রাইজ এবং সোনালী এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে ৬ প্রতিষ্ঠানের পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সরকারি শুল্ক ফাকিতে অভিযুক্ত বহুল আলোচিত রয়েল এন্টারপ্রাইজ। এর আগে ওই শেড থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানিকৃত ৩৯টি পণ্য ট্রাক বোঝাই করে খালাস করে প্রতিষ্ঠানটি। নাপোল কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এসব ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানির সাঙ্গে কাস্টমস ও স্থলবন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজস রয়েছে।
স্থলবন্দরে কর্মরত জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির কারণে এখানে রাজস্ব আয় বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
এমএমজেড