ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নিউইয়র্কে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
নিউইয়র্কে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ঢাকা: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।  

শনিবার (৬ আগস্ট) স্থায়ী মিশন জানায়, অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।  

তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, এবং আধুনিক একজন বাঙালি। তিনি ছিলেন সাধারণের মধ্যে অসাধারণ। অমায়িক ব্যবহার, মানবিক গুণাবলী এবং সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি অসংখ্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই ক্ষণজন্মা তরুণ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে দেশের যুবসমাজকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।  

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে, তার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুন শেখ কামালের স্বপ্ন।  

রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, নিজস্ব চিন্তাধারা, সৃজনশীলতা, মেধা ও রুচির সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে জাতি গঠনে শহীদ শেখ কামাল যে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন তা যুব সমাজের জন্য অনন্তকাল ধরে অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।  

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ বক্তব্য রাখেন। শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের নানা দিক উঠে আসে উন্মুক্ত আলোচনায়।  
শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুব সমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে আরও উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।