ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় কমে গেছে যানবাহন চলাচল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
মাগুরায় কমে গেছে যানবাহন চলাচল

মাগুরা: মাগুরায় তেলের দাম বাড়ায় জেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যান চলাচল অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে শালিখা, মোহাম্মদপুর, শ্রীপুর, মাগুরা সদরসহ সব রুটে ছিল কর্মজীবী মানুষে ভিড়।

তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশা,ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল করে জেলা শহরে এসেছেন।  

আজ (৫আগষ্ট) শনিবার দুপুরে মাগুরায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়।

সরজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে জামান অ্যান্ড দত্ত ফিলিং স্টেশন, মা ফাতেমা ফিলিং স্টেশনসহ জেলারসব ফিলিং স্টেশনগুলোতে আগের তুলনায় তেল বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে।

এদিকে খুলনা, চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ যশোর থেকে যেসব যাত্রীবাহী গাড়িগুলো আসতো সেগুলো অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে মাগুরা থেকে ঢাকা, খুলনা,যশোর-বেনাপল, মেহেরপুর থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলো অধিক ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।

ঝিনাইদহ রোডের গাড়ি চালক মো. আরাফাত হোসেনে বলেন, সরকার হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হচ্ছে। অনেক সময় হাতাহাতির মত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। আগে যেখানে ডিজেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৮০ দশমিক ৫০ পয়সা সেখানে দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১৪ দশমিক ৫০পয়সা। লিটার প্রতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। মালিক পক্ষ গাড়ি চলাতে চাইছে না। আমরা বেকার বসে আছি।

এর মধ্যে বাস মালিক ও মোটর শ্রমিকদের মধ্যে বাসের ভাড়া বাড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে কোনো ঘোষণা না দিলেও অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে বাস চলাচল কমিয়ে দিয়েছে। মালিক পক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভাড়া বাড়ার বিষয় জানা যাবে।

এদিকে মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সোহাগ পরিবহন কাউন্টার মাস্টার মো. ইমদাদুল হক বলেন, অনেকটা লোকসান দিয়ে পরিবহনে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছি। কেননা আগে আমাদের অনলাইনে টিকিট বুক করা ছিল। যে কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে অধিক ভাড়া নিতে পারছি না। লোকসান মেনে নিয়ে গাড়ি চলছে। আমরা আশা করি দুই একদিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে যাত্রীদের বাস ভাড়ার সমন্বয় করে নতুন ভাড়ার নির্দেশনা আসবে।

এদিকে মাগুরা পূবাসা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি পরিবহনের টোলফি, পৌর ফি, রুটফি, কর্মচারীর বেতনসহ মোট সাড়ে ২২ হাজার টাকা আসা এবং যাওয়া খরচ হয়। সেখানে আমরা অনেকটা লোকসান দিয়ে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছি। আগামীতে নতুন নির্দেশনা আসলে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

মাগুরা থেকে ফরিদপুর গামী বাসযাত্রী মো. সুজন শেখ বলেন,ফরিদপুরের ভাড়া ছিল ৮০টাকা সেখানে বর্তমানে ভাড়া হয়েছে ১০০টাকা। এক্ষেত্রে অনেকেই ছোট ছোট যানবাহনে করে যাতায়াত করছে।

মাগুরা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইবদাদ হোসেন,মাগুরায় অল্প পরিসরে পরিবহন চলছে।  

তবে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে সরকার পক্ষের বৈঠক সবতে পারে ঢাকায়। সে অপেক্ষায় আমরা। পরিস্থিতি বুঝে তারা ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।