ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘৭১ এ পরাজিতরা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
‘৭১ এ পরাজিতরা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত’

ঢাকা: ৭১ এর পরাজিত অপশক্তি দেশে ও দেশের বাইরে জঘন্য মিথ্যাচার করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, আদর্শিকভাবেও বঙ্গবন্ধু কন্যার সাফল্যের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা করছে।

এর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের প্রবাসে কঠিনভাবে মোকাবিলা করতে হবে। প্রবাসে যে মিথ্যাচার চলছে সেই মিথ্যাচারের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।  

শনিবার (০৬ আগস্ট) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে 'শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল: একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুব আইকনকে স্মরণ' শিরোনামে বাংলাদেশ হাই-কমিশন, লন্ডন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তাদের লক্ষ্য শুধু একজন শেখ মুজিবকে হত্যা করা ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যার নেতৃত্বে বিনির্মাণ হয়েছে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হত্যা করা। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারে যারা রাজনীতি করত না তাদেরও নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় তারা ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।  

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি এখনো বিনাশ হয়নি। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর স্থলাভিষিক্ত মনে করে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। সে কারণেই তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টসহ অন্তত ১৯ বার বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এখনও তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। দেশে এবং দেশের বাইরে যারা এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যে যদি কোনো বাধা আসে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হারিয়ে যাবে। ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হারিয়ে যাবে। তা আমরা নিশ্চয়ই হতে দিতে পারি না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের শেষ আশ্রয়স্থল। তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। তাঁকে এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান ফারুক, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বন্ধু সাবেক রাষ্ট্রদূত শাহেদ রেজা ও স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির নেতারা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
জিসিজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।