ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গমাতার সাহস ও ত্যাগ অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেণ্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
বঙ্গমাতার সাহস ও ত্যাগ অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সাহস ও ত্যাগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেবল দেশের নারীরা নয়,পৃথিবীর অনেক দেশের নারীরাও দৃষ্টান্ত হিসেবে অনুসরণ করতে পারেন।
 
রোববার (৭ আগস্ট) সকালে ‘বঙ্গমাতা: এ প্যারাগন অব উইমেনস লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন-বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাতি গঠনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান ও জীবন দর্শন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে সম্মেলনটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আজকে যে সুযোগটা দিয়েছেন এবং জেন্ডার সমতার কথা বলেছেন- আমার বাবার পাশে থেকে থেকে যেভাবে তিনি (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) সাহস দেখিয়েছেন আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু না পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে। যে একজন মানুষ তার জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেছেন একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য, একটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে সব সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময় সহযোগিতা করতেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, মার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি আমার আম্মা কোন আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য, গরীব আত্মীয় পরিবার পরিজনের জন্য।

১৫ আগস্টের নির্মমতা এবং বঙ্গমাতার সাহসিকতা ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যখন আমার আব্বাকে গুলি করলো আমার মা কিন্তু জীবন ভিক্ষা চাননি। এ পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ নিজের জীবন ভিক্ষা চায়। আমার মা ভিক্ষা চাননি। মা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- উনাকে যখন হত্যা করেছো আমাকেও হত্যা করো। তখন ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়।

তিনি বলেন, ঘাতক করা? এরা তো আমাদের বাসায় অহরহ যেত। আমার মা সবাইকে আপ্যায়ন করতো। অথচ তারা ঘাতক হয়ে আসলো।

বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দুরদর্শীতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসারের ব্যাপারে, রাজনীতির ব্যাপারে প্রতিটি ব্যাপারে তিনি যে সিদ্ধান্ত যখন দিয়েছেন সেটা যে আমাদের দেশের জন্য কত সঠিক আর শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনটাও দিয়ে গেলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন অডিটরিয়াম প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
এমইউএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।