ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে গণপরিবহনের চলাচল কম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
সড়কে গণপরিবহনের চলাচল কম

ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহনের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সরকারের দেওয়া নতুন ভাড়া চাট নিয়ে অনেকটাই না খোশ।

এই কারণে অনেক পরিবহন মালিকরা তাদের কম সংখ্যক পরিবহন সড়কে বের করেছেন।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আমাদের ভাড়া হয় ৯০ টাকা কিন্তু যাত্রীরা ৭০-৮০ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রায় সবখানেই যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হচ্ছে। মূলত সেই কারণে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম।

রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় যানজট অনেকটা কম থাকলেও বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, বনানী মহাখালী এলাকায় সড়কের পাশে গণপরিবহনের অপেক্ষায় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। যদিও কিছু সংখ্যক গণপরিবহন সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবুও যাত্রী তুলনায় এর সংখ্যা অনেক কম বলে জানিয়েছে যাত্রী ও পথচারীরা।

এদিকে আবারও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ থাকতে দেখা গেছে।  

অনেকেই বলছেন, যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিন্মমুখী তখন আমাদের দেশে তেলের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী। সব দিক থেকে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের সমস্ত জ্বালা সহ্য করতে হচ্ছে। এদিকে সব কিছুরই দাম বাড়তি, কিন্তু আমাদের বেতন বাড়ছে না। খরচের পরিমাণ বেড়েছে। এখন সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

গণপরিবহন মনজিল এক্সপ্রেস পরিবহন বাসের সুপারভাইজার মো. সুমন বাংলানিউজকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহনের ভাড়াও বেড়েছে। কিন্তু যাত্রীরা তা দিতে চায় না। এদিকে ডিপো থেকে গাড়ি বের করে চালালে ওই তেলের খচর উঠে না। বাড়তি ভাড়া নিয়ে প্রায় বিভিন্ন জায়গাতে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ঝামেলা লাগছে। তাই আমরা সব পরিবহন সড়কে বের করিনি।

তিনি বলেন, মনজিল এক্সপ্রেস পরিবহনের ৭০ টি বাস রয়েছে। রোববার মাত্র ১১টি পরিবহন সড়কে চলাচল করছে। বাকিগুলো ডিপোতে পড়ে আছে। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না তাই সড়কে পরিবহন কম বের করেছি।

প্রজাপতি বাসের হেলপার রমজান বলেন, যাত্রীদের কাছে ভাড়া চাইলেই তাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এতে আমাদেরও কথা বলা লাগে। তখনই ঝামেলা হয়। আমরাও বুঝি যে তাদের ওপর চাপ পড়ে। কিন্তু কি করবো, আমাদেরও তো লোকসান হয়।

শফিকুল ইসলাম নামে গণপরিবহনের এক যাত্রী বলেন, গেল দফায় গণপরিবহনের ভাড়া বাড়লো। এবার আমার গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালো। আমাদের খরচ প্রতিদিনই বাড়ছে কিন্তু আয়তো বাড়ছে না। অফিস তো বেতন বাড়ায় না। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদেরই পকেট কাটা যাচ্ছে। দুইটাকা সঞ্চয় করবো কোথায়, পাঁচ টাকা ধার করে চলতে হচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমাদের সব মিলিয়ে ব্যয় ৭০ শতাংশ বাড়লেও জনগণের কথা মাথায় নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। মালিক সমিতিও কঠোর আছে এ বিষয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
এসজেএ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।