ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে রোল মডেল  রাজশাহী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে রোল মডেল  রাজশাহী

রাজশাহী: জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে দিনের পর দিন নির্বাচন অফিসে ধর্না দিতে হয় নানান পেশার মানুষকে। তাই সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের এই ভোগান্তি দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়।

এতে সুফলও মিলেছে। রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসারদের উদ্যোগ নিয়ে এসেছে সফলতা।

গত জুলাই মাসের শেষ ১৫ দিনে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম কিংবা বয়স সংশোধনের জন্য ৫ হাজার ৯০৯টি আবেদন জমা পড়েছিল আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে। তবে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আগের জমে থাকা আবেদনসহ মোট ৮ হাজার ৮১৭টি আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করেছে আঞ্চলিক ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা নির্বাচন অফিস।

জানতে চাইলে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজের সামনে তুলে ধরেন এই সফলতার চিত্র। তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৭৪টি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৯টি সংশোধনীর আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যেই। এখন আর ৪০ হাজার ৮৩৫টি আবেদনের যাচাই-বাছাই চলছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এগুলোর কাজও শেষ হবে।

সাইফুল ইসলাম বলেন, জনগণের ভোগান্তি দূর করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করায় সব কর্মকর্তার মধ্য থেকে একজন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তিনজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃতও করা হয়েছে। গত ৬ আগস্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে সাইফুল ইসলাম নিজেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্বলিত বই ও সনদ তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ১৫ দিনে ৪২৪টি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনীর নিষ্পত্তি করায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ দিনে ৩৮৬টি আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রথম হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। আর ৩৭৯টি আবেদন নিষ্পত্তি করে দ্বিতীয় হয়েছেন পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। এছাড়া ৩৬৭টি আবেদন নিষ্পত্তি করে তৃতীয় হন নাটোর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

ওই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাজশাহী অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ছাড়াও আট জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিভাগের সকল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে রাজশাহী সারা দেশে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। তাই রাজশাহীর এই বিশেষ উদ্যোগ আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনে নতুন মাইল ফলক স্থাপন করবে বলেও মন্তব্য করেন আঞ্চলিক এই নির্বাচন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।