ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বৈরী আবহাওয়া ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি

ঘাটে ফিরে আসছে মাছ ধরার ট্রলার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
ঘাটে ফিরে আসছে মাছ ধরার ট্রলার

কক্সবাজার: ভরা মৌসুমেও কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ইলিশ ধরতে যেতে পারছেনা জেলেরা। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহ ও বৈরি আবহাওয়া এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ ট্রলার কক্সবাজার উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে রয়েছে।

গত ২৩ জুলাই সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে যায় কয়েক হাজার ট্রলার। প্রথম সপ্তায় ভালো ইলিশ ধরা পড়লেও গত দু সপ্তাহ ধরে আশানুরূপ ইলিশ জালে ধরা পড়ছেনা বলে জানান জেলেরা।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ইলিশ গভীর সাগরের দিকে ফিরে গেছে। বৃষ্টিপাত শুরু হলেই উপকূলের কাছাকাছি ইলিশ ছুটে আসবে। এর মধ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গভীর সাগরে থাকা শত শত মাছ ধরার ট্রলার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া, চৌফলদণ্ডী, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসছে।  

বুধবারও (১০ আগস্ট) কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সর্তকতা সংকেত রয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।  

দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণকেন্দ্র কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অন্তত দুই হাজার মাছ ধরার ট্রলার ভেড়ানো রয়েছে। এসব ট্রলারে মাঝি-মাল্লারা আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে সাগরে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছে।  

একটি ট্রলারের মাঝি সিরাজ মিয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ৭-৮ দিনের রসদ নিয়ে ২০ জন জেলে নিয়ে তাদের ট্রলারটি ইলিশ ধরার জন্যে সাগরে যায়। এই যাত্রায় তাদের জ্বালানি খরচও উঠে আসেনি। এখন ১০দিন ধরে ঘাটে অপেক্ষায় আছেন।  

এফবি সোলেমান নামের ট্রলারের মালিক নাজেম উদ্দিন (৫২) জানান, সাগরের আবহাওয়া খারাপের পাশাপাশি এখন জ্বালানি তেলের দামও বেড়ে গেছে। এতে সাগরে ট্রলার পাঠানো নিয়ে দ্বিধায় আছি। দুই দফায় চার লাখ টাকার ওপর লোকসান হয়েছে।

কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও আড়তদার জয়নাল আবেদীন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঘাটে মাছ নেই বলে চলে। সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরাও মাছ ধরতে যেতে পারছে না।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে প্রায় ছয় হাজার মাছ ধরার ছোট-বড় ট্রলার রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ট্রলার এখন উপকূলের ঘাটগুলোতে নোঙর করে আছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজননের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা প্রথম এক সপ্তায় আশানুরূপ মাছ পেয়েছিল। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সব ধরণের নৌযান অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এসবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।