জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে মেরুরচর ইউনিয়নে নির্মিত মাদারচর সেতুটি উদ্বোধনের আগেই বেশ কয়েকটি স্থানে উঠে গেছে কার্পেটিং।
তবে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, কার্পেটিং উঠে গেলেও মূল সেতুটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
এর আগে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ইসলামপুরের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারচর সেতুর ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থয়ানে ২০১৬ সালের ১ মার্চ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন কাজ শেষ হয় এবং সেদিনই যানবাহন চালাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতু। কিন্তু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়নি সেতুটি। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিত্তি প্রস্তরের ফলক বা উদ্বোধনের ফলকের জায়গা এখনো খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অসহযোগিতার কারণেই সেতুটিতে কোনো ফলক বসানো হয়নি। অথচ বর্তমান সরকারের আমলে জামালপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের একটি হচ্ছে এ সেতু।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়িচালক শহিদুল্লাহ জানান, সেতুটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়া ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে হয়। দ্রুত এ সমস্যা সমধান না করলে খুব কম সময়েই মূল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, জামালপুর-০১ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ সেতু নির্মাণ করা হলেও সেতুটি উদ্বোধন করা হয়নি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে নামের ফলক খালি অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে এমপি আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, সেতুটি সংস্কার ও নামফলক নিয়ে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এর সমধান হবে।
জামালপুর স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক বাংলানিউজকে জানান, সেতুটির কার্পেটিং উঠে গেলেও মূল সেতুটি রয়েছে অক্ষত। সেতুটির ওপর ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এসআই