ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা এলাকার বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শাকির বিন ওয়ালী নামে একজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। শাকিরের বাবা ডা. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ রামপুরা থানা ও সিআইডিতে গেলে কেউ তার সন্ধান দিতে পারেননি।
শাকির বিন ওয়ালী কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০২০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। বর্তমানে তিনি এফসিপিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
শাকির ছাত্রজীবনে রেটিনা কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তিনি ওই কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। তার বাবা ওয়ালী উল্লাহ ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সহ-সভাপতি। সংগঠনটি ইসলামি ও ডানপন্থি ঘরানার চিকিৎসকদের।
শাকিরের বাবা ওয়ালী উল্লাহ বলেন, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সিভিল পোশাকে চারজন ব্যক্তি আমার বাসায় প্রবেশ করেন। আমি তখন পেশাগত কাজে বাইরে ছিলাম। তারা আমার দ্বিতীয় সন্তান, সদ্য এমবিবিএস পাস করা ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নিয়ে যান। তাদের নাম-পরিচয় ও ফোন নম্বর জানতে চাইলে শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক।
আমি খবর পেয়ে রামপুরা থানায় যোগাযোগ করলে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তখন আমি জিডি করতে চাইলে রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা আমার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো ওনার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নোট করেন। তিনি বলেন, ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়ে আমাকে পরবর্তীতে জানাবেন।
ওয়ালী উল্লাহ আরও বলেন, একই দিন রাত ১০টার দিকে আবার সাদা পোশাকে ৪/৫ জন সিআইডি পরিচয়ে আমার বাসায় আসেন। তারা আমার ছেলের রুম তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। তাদের নাম-পরিচয় ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে তখনও শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক।
পরদিন সোমবার সকালের দিকে ওয়ালী উল্লাহ সিআইডির মালিবাগ অফিসে যান এবং সেখানে রিসিপশনে যোগাযোগ করেন। তারা শাকির বিন ওয়ালীর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ছেলেকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে রামপুরা থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শাকিরের বাবা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা বলেন, সিআইডি পরিচয়ে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করতে এসেছিলেন শাকিরের বাবা। তখন সিআইডিতে খোঁজ নিতে বলা হয়। পরে আর তিনি থানায় যোগাযোগ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
পিএম/এমজেএফ