বান্দরবান: বান্দরবান জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তের বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী তুমব্রু এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ মন্তব্য করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমরা আমাদের সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি, আর নিরাপত্তার বিষটি মাথায় নিয়ে আমরা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করে রাতের মধ্যে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে গেছি এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষার্থীদের সুষ্টুভাবে পরীক্ষা দিতে করে যাচ্ছি।
আমরা এলাকার বাসিন্দাদের যাচাই-বাচাই করার কাজ শুরু করেছি এবং কাজ শেষ হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের কোথায় সরানো হবে, যোগ করেন ডিসি।
এসময় পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের বাংলাদেশি জনগণের নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছি এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। নজর রাখা হচ্ছে, যাতে মিয়ানমারের কোনো রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে।
এর আগে সকালে বান্দরবান সদর থেকে প্রথমে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এরপর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শন করে ঘুমধুম ইউনিয়নের পরিষদ কার্যালয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিসি।
সভায় পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু কুমার সাহাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে ছোড়া দু’টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে তুমব্রু এলাকায়। সর্বশেষ গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক আহত ও রাতে মর্টার শেলের আঘাতে এক রোহিঙ্গা নিহত ও পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হন। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এসআই