নড়াইল: দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নদী পারাপারের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল কাঠের সেতু। সেটা ভেঙে গেছে তিন মাসে আগে।
ভাঙা সেতুটি সেভাবেই পড়ে আছে নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এর নবগঙ্গা নদীর ওপর। পৌর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি মেরামত তো দূরে থাক দেখতেও আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিসগামীরাসহ ওই এলাকায় যাতায়াতকারীদের ৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। ফলে জনসাধারণের অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়।
জানা গেছে, পৌরসভার চোরখালী, জয়পুর আর ছাতরা গ্রাম নিয়ে গঠিত ১ নম্বর ওয়ার্ড নবগঙ্গা নদীর উত্তরে অবস্থিত। আর নদীর দক্ষিণে কচুবাড়ীয়া, রামপুর, শিংগা আর মশাঘুনি নিয়ে গঠিত পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড। লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ ২০০৮ সালে পৌরসভার পশ্চিম এলাকার জনগণের যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে উত্তরের চোরখালি আর দক্ষিণের কচুবাড়ীয়া গ্রামের সোজাসুজি একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে।
![](https://banglanews24.com/public/userfiles/images/31-08/10-09/16-09/19-09/Narail-Bridge-photo-2.jpg)
এতে করে পৌরবাসী স্বল্প দূরত্বে পৌর কার্যালয়, উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারে। যদিও সেতুটি নির্মাণের এক যুগ পরেও নির্মিত হয়নি সংযোগ সড়ক। তবু সাধারণ মানুষ হেঁটে এপার ওপার যাতায়াত করছিল।
কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসের শেষ দিকে রাতের অন্ধকারে সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে নদীতে পেড়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের বালু কাটার ড্রেজার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আনার ব্যবস্থা করতে গিয়েই সেতুটি ভেঙে ফেলেছে। এরপর থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়েছে সেতু ব্যবহারকারীরা।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোবিন্দ পাল বাংলানিউজকে বলেন, কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ায় আমাদের ৫ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি সময় নষ্ট হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এপারের অনেক ছেলে মেয়ে ওপারের মাদরাসায় পড়ে। তারা ঠিকমত যেতে পারছে না। মাত্র এক-দুই মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছে এক ঘণ্টা। তারপরও সময়মত এখান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটা আমাদের খুবই জরুরি।
লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। সেতুটি মেরামত করার চেয়ে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ কার যায় কিনা সে বিষয়ে সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলবেন। বর্তমানে জনসাধারণকে নৌকায় পার হওয়ার উপদেশ দিলেন তিনি।
জেলার “সি” শ্রেণির পৌরসভার চারভাগের এক ভাগ মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য সেতুটি মেরামতসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মূল সড়কে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
আরএ